করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ছে, এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করার প্রবণতাও তত বেড়েছে। কিন্তু এই মাস্কও বাজারে কার্যত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যা মিলছে, তা-ও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। এমনকি, সরকারি হাসপাতালেও মাস্কের বিপুল চাহিদা থাকলেও তার চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌছেছে যে শুক্রবার নবান্নে করোনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকেও মাস্কের বেআইনি মজুত নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মাস্ক নিয়ে বেআইনি মজুতদারি বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। যারা সেটা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে পুলিশ তো বটেই, সরকারের তরফে সব রকমের নজরদারি শুরু হয়েছে।
এরই পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে মাস্ক সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লেখার কথাও জানান তিনি।এরপরই নড়েচড়ে বসে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। তারা সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক করেন ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তাদের সঙ্গে।
রাজ্যের খুচরো ও পাইকারি ওষুধ বিক্রেতাদের সর্ববৃহৎ এই সংগঠনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কোনও ভাবেই যাতে ছাপা দামের থেকে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবারই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম চত্বরের বেশ কিছু ওষুধের দোকানে তল্লাশি চালায় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেনা দামের থেকে ৪০-৫০ শতাংশ বেশি দামে মাস্ক বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ওই সব দোকানের বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে।বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করতে দেখলে কড়া ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ।
শনিবারও কলকাতার বেশ কিছু ওষুধের দোকানে হানা দেয় পুলিশ।  শুক্রবার বেশ কিছু খুচরো ওষুধের দোকান ঘুরে পুলিশ দেখেছে, এন-৯৫ মাস্ক প্রায় নেই কোথাও। একটু ভালো মানের মাস্কেরও দাম গড়ে ২০০-২৮০ টাকা। কলকাতায় ওষুধের পাইকারি বিক্রি হয় মেহতা বিল্ডিংয়ে। ক’দিন আগেও যে এন-৯৫ মাস্ক গড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেখানে তারই দাম শুক্রবার নেওয়া হয়েছে ৪০০ টাকায়।
ডিস্ট্রিবিউটররা জানিয়েছেন, তারা ২৮০-২৯০ টাকা পাইকারি রেটে এন-৯৫ মাস্ক কিনছেন।সেই কারণেই বাজারে তা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।






























































































































