করোনাভাইরাসে চিনে ব্যাপক প্রাণহানির পর দক্ষিণ কোরিয়ায়তেও তা মারাত্মক রূপ নিতে যাচ্ছে। সেখানে ঘণ্টায় গড়ে ২৫ জন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে। দক্ষিণ কোরিয়ায় শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় হাজার ১৮৮ জন। গত সপ্তাহে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৬৬ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। সবমিলিয়ে ব্যাপক শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দক্ষিণ কোরীয়রা।
কোভিড-১৯ আতঙ্কে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না অধিকাংশই।
হানিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আরিফুর রহমান বলেন, খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটাতে হচ্ছে, কোথাও বের হতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ মার্চ ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাইরাস আক্রান্তের কারণে তা ১৪ দিন পিছিয়েছে। তিনি বলেন, এমন অবস্থায় অনলাইনেই ক্লাস নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের অধিকাংশই দক্ষিণাঞ্চলীয় দেগু শহরের বাসিন্দা।সেদেশে বিদেশিরা যেখানে কাজ করেন সেই কারখানা পর্যন্তই তাদের যাতায়াত সীমিত। প্রতিদিন কোম্পানিতে ঢোকার সময় তাদের শরীরের তাপমাত্রা দেখা হয়।
এরই মধ্যে কোরিয়াতে যে গির্জাটি থেকে প্রথম করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরাসরি খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।অভিযোগ, বহু নিষেধ সত্ত্বেও যে তৎপরতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলার কথা ছিল গির্জাটির, তারা তা করেনি।
ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সেই গির্জাপ্রধান লি মান-হি। শিনচিওনজি নামের এই গির্জার প্রধান এক সাংবাদিক সম্মেলনে দুবার হাঁটু গেড়ে নত মস্তকে ওই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্যল অবহেলার অভিযোগ এনে বিষয়টি তদন্ত করতে চাইছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
গোটা বিশ্বে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিনে করোনাভাইরাসের থাবায় ৩০১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৮০৪০৯ জন। ইরানে ৩৫১৩ জন আক্রান্ত, মৃত ১০৭। ইতালিতে ৩০৮৯ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ১০৭ জনের। জাপানে ৩১৭ জন আক্রান্ত, মৃত ৬। ফ্রান্সে ২১২ জন আক্রান্ত, মৃত্যু ৪ । স্পেনে ২০০ জন আক্রান্ত, মৃত ১। ভারতে ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.