রোজ রিভিউ হচ্ছে, রাজ্যসভায় করোনা-পরিস্থিতি ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

0
4

মারণ করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে, অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সংক্রমণ এড়াতে সর্কতামূলক ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে নিয়মিত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে স্ক্রীনিং করার পরিকাঠামো ও ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধন।

করোনাভাইরাসের সমস্যা নিয়ে তিনি রোজ রিভিউ মিটিং করছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ডা. হর্ষবর্ধন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি মনিটর করছেন। মন্ত্রীগোষ্ঠির সদস্যরাও পর্যালোচনা বৈঠকে থাকছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ৪ মার্চ পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ তাঁর মধ্যে ১৩ জন ভারতীয়। এর মধ্যে ১৬ জনই ইতালি থেকে আসা পর্যটক। এরা যে গাড়িতে ঘুরছিলেন তার ড্রাইভারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের এখন কোয়ারানটিনে রেখে চিকিৎসা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ইরানে আটকে থাকা তীর্থযাত্রী ও ছাত্রদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক ইরান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। চিনের উহান থেকে একাধিক দফায় এয়ার ইন্ডিয়া ও বায়ুসেনার বিমানে ভারতীয়দের ফেরার কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, কূটনীতিক, রাষ্ট্রসঙ্ঘের অফিসার ও ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারী বাদে সাতটি দেশ থেকে বাইরের কাউকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একইভাবে ভারতের নাগরিকদেরও এখন এই দেশগুলিতে যেতে বারণ করা হয়েছে। এই সাতটি দেশ হল চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সংক্রমণ আটকাতেই এই ট্র্যাভেল অ্যাডভাইসারি জারি হয়েছে। এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, দেশের রেলস্টেশনগুলিতে করোনা রুখতে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হোক। এই প্রস্তাব খুবই ভাল বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।