সারদা: রাজ্যের হাত থেকে নতুন মামলা তুলে নিল সিবিআই

0
15

হঠাৎই দীর্ঘকাল পর রাজ্য সরকারের হাত থেকে নতুন করে সারদামামলার তদন্ত নিজেদের হাতে নিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার ঘাটাল কোর্টে নাটকীয়ভাবে একটি মামলা তুলে নিয়েছে তারা।

এই মামলাটি ২০১৩ সালের। ২০১৪ সালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হন কুণাল ঘোষ। সামান্য কদিনের মধ্যে জামিনও পান। একাধিক অভিযুক্ত রয়েছেন এই মামলায়।

পুজোর আগে কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী একটি পিটিশন দাখিল করে কুণালের বিরুদ্ধে মামলা খারিজের দাবি করেন। কারণ সিআরপিসি 167(5) অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে দুবছরের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করতে হয়। কুণালের বিরুদ্ধে ৬ বছরেও চার্জশিট পেশ হয় নি। ফলে মামলা খারিজ হওয়া উচিত। রাজ্য সরকারি আইনজীবী এতে আপত্তি তোলেন। বিচারক তদন্তকারী অফিসারকে হাজির হতে বলেন। কোনো ফয়সালা হয় নি। এভাবেই চলছিল।

ইতিমধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি সিবিআই ঘাটাল কোর্টে হাজির হয়ে পিটিশন দিয়ে জানায় তারা মামলাটি নিয়ে নেবে। এসিজেএম না আসায় চার্জে থাকা জে এম 5/3/20 শুনানির দিন রাখেন।

এদিনও এসিজেএম আসেন নি। চার্জে জেএম। চলে আসেন সিবিআই ডেপুটি সুপার তথাগত বর্ধন। তিনি কথা বলেন রাজ্য সরকারি পিপির সঙ্গে। পিপি বলেন আবার একটি দিন ঠিক হবে। সিবিআই আপত্তি করে বলে তদন্তে দেরি হচ্ছে। তখন কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীকে ডাকেন পিপি। তাঁর ঘরে কার্যত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। অয়ন বলেন, আজই 167-এর শুনানি হোক। কারণ দিনের পর দিন আমার মক্কেল অবিচারের শিকার হচ্ছেন। চার্জশিট না দিয়েও ছবছর ধরে তাঁকে ঘোরানো হচ্ছে। পিপি বলেন, 167 নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। অয়ন বলেন, তাহলে আমার পিটিশনের শুনানি চাই না। কেস রেকর্ডে রাখা হোক। সিবিআই মামলাতেই শুনানি করব।

এরপর তিনপক্ষ একসঙ্গে জে এম এজলাসে যান। অয়ন বলেন,” এতদিনেও 167 নিয়ে একটি ন্যায্য সিদ্ধান্ত হল না। ওটির শুনানি পরে করব।” সিবিআই কর্তা তথাগত বর্ধন কোর্টকে প্রয়োজনীয় নথি দেখান। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি তাঁরা নিচ্ছেন। এরপর রাজ্য সরকারি পিপি আর বাধা দিতে পারেন নি। জেএম জানান তিনি নির্দেশ দিয়ে দিচ্ছেন।

ফলে এই মামলা আবার নতুন করে সিবিআইর হাতে যাচ্ছে। এনিয়ে নানারকম জল্পনা শুরু হয়েছে। ঘাটাল কোর্টেই কথা চলছে, রাজ্য সরকারি পিপি শুরু থেকেই এই বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল।