সিউড়ি থানায় হাজিরা মুকুলের

0
4

হাজিরা দিতে ফের বীরভূমের সিউড়ি থানায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়। লাভপুর থানার একটি খুনের মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। সে মামলায় সোমবার তিনি থানায় হাজিরা দেন। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে জেরা করেন।

২৩ জানুয়ারিও সিউড়ি থানায় হাজিরা দিয়েছিলেন মুকুল রায়। ওইদিন প্রায় ৬ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন পুলিশের আধিকারিকেরা। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৩ সিপিএম নেতাকে খুনের অভিযোগ আছে। মণিরুল ইসলাম সেই সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন। যদিও পরে তিনি তৃণমূল যোগ দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন এবং সম্প্রতি তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

২০১০ সালের জুন মাসে লাভপুরের নবগ্রামে সালিশি সভায় বচসার জেড়ে কাটুন শেখ, ধানু শেখ ও তরুক শেখকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ওই খুনের ঘটনায় লাভপুরের সই সময়ের তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক মণিরুল ইসলামের নাম জড়ায়। যদিও পরবর্তীতে তাঁর নাম বাদ যায়। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফের তদন্ত শুরু করে বীরভূম পুলিশ। তারপরই গত ডিসেম্বর মাসে বোলপুর আদালতে পুলিশ যে চার্জশিট জমা দেয়, তাতে মণিরুল ইসলাম ও বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম রয়েছে। ওই ঘটনার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। আদালত তাঁকে কিছু দিনের জন্য রক্ষা কবচ দেয়। একই সঙ্গে নির্দেশ দেয়. তিনি বোলপুর, শান্তিনিকেতন ও লাভপুরে যেতে পারবেন না। এদিকে লাভপুরের তিনজন খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুল রায়কে তলব করে পুলিশ। মুকুল রায় বলেন, ভারতের একজন আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচার ব্যবস্থার উপর তাঁর সম্পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা যখন তাঁকে ডাকবে তিনি উপস্থিত থাকবেন।