২০১৩ সালের পর ২০২০. সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকে দেখা গেল প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকে। এরমধ্যে ২১ জুলাই বা ২৮ অগাস্টসহ কয়েকটি জনসভার মঞ্চে দেখা গেলেও দলের কোনো নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সাত বছর বাদে দেখা গেল তাঁকে। কুণালকে দেখে সৌজন্যবিনিময় শুরু করেন নেতা, কর্মীরা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,” আমি তো দলে ছিলাম। দলেই আছি। দল ছাড়ার কথা কখনও বলি নি। আজকালকার দিনে কোনো ইস্যুতে মতপার্থক্য হলেই চারদিকে দল ছাড়ার প্রবণতা দেখি। আমি এর মধ্যে পড়ি না।” নিজেকে পরিবর্তনের আন্দোলনের পুরনো দিনের সৈনিক বলে মন্তব্য করেন কুণাল। তিনি বলেন,” তৃণমূল মানে সবার উপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দলটাকে একটা সাংগঠনিক কাঠামোতে রাখার চেষ্টা করছে, তাতে আকর্ষণ বোধ করছি। আবেগ আর সংগঠনের সুষম মিশ্রণ নিশ্চয় আরও কার্যকর হচ্ছে। পিকের প্লাস পয়েন্টগুলি ধারালোভাবে প্রয়োগ করাচ্ছে অভিষেক।” কুণাল এদিনের বৈঠকে আমন্ত্রণের কার্ড পাওয়ায় এবং নেতাজি ইন্ডোরে আসায় এটা আবার স্পষ্ট যে তিনি তৃণমূলের গন্ডিতেই আছেন। তিনি বলেন,” পরিবর্তনের আন্দোলন যেমন কঠিনতম একটি পর্ব ছিল, তেমনই সংসদীয় রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলকে ধরে রাখা বড় কম কঠিন কাজ নয়। মমতাদি, পার্থদা, শুভেন্দু, অভিষেকসহ নেতৃত্ব নিশ্চয়ই সেসব দেখছেন। আর অভিষেক- পিকে জুটি যেভাবে দলের বাড়তি মেদ ঝরানোর জরুরি কাজটা করছে দেখছি, তাতে দল ফিট থাকাই উচিত।”




























































































































