দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানালেন, দ্রুত আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করুক ভারত সরকার। পাশাপাশি মুজিব শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদfর বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আসলে দিল্লির সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের বিক্ষোভ। শুক্রবার ঢাকায় হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।শনিবারও বিভিন্ন জায়গায় চলে সেই বিক্ষোভ সমাবেশ।দাবি তোলা হয়, মুজিব শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ঢাকা বিমান বন্দরেই ঘেরাও করা হবে।
দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষে যে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের অনেকেই ভারতীয় সংখ্যালঘু মুসলিম। তার জেরে বাংলাদেশে মুসলিম সংগঠনগুলি বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার নয়াদিল্লিকে বার্তা দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি শহরে আভ্যন্তরীণ সমস্যা চলছে। ভারতের আভ্যন্তরীণ সমস্যা হলেও প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে পাশের ঘরে আঁচ লাগে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমরা আহ্বান জানাই আলাপ-আলোচনা করে এই আভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করার।
দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে মুসলিমদের উপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ইসলামিক সংগঠনগুলির দাবি, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের কংগ্রেস সরকার যথাযথ সাহায্য করেছিল। তাদের কোনও প্রতিনিধিকে আটকানো হবে না। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকারের বিভেদ নীতিতে আক্রান্ত হচ্ছেন সেদেশের সংখ্যালঘুরা। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি কে ঘিরে বিক্ষোভ চলবে। মুসলিম নেতাদের বিতর্কিত এই বয়ানের পরেই বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের তরফে ভারতকে বার্তা দিল।




























































































































