একদিকে বিচারপতির বদলি, অন্যদিকে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর না করা। এই দুইয়ের জাঁতাকলে সমালোচনার মুখে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিচারপতি এস মুরলিধরণ ভিডিও দেখে বিজেপির সাংসদ, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। গভীর রাতে এই নির্দেশের পরেই তাঁকে বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে নয়া বিচারপতি চার সপ্তাহ কেন্দ্রকে সময় দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড়। বিরোধীদের বক্তব্য, প্ররোচনা দেওয়ার তথ্য প্রমাণ পাওয়ার পরেও আদালত কেন সহানুভূতি দেখাচ্ছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে? সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর করার প্রশ্নে প্রশাসন যে তৎপরতা দেখিয়েছে, একই তৎপরতা অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্রদের বিরুদ্ধে কেন দেখানো হলো না! সে নিয়ে সব মহলেই বিস্ময় এবং রাজনীতিকরণের অভিযোগ। তাহিরের বাড়ির ছাদ থেকে প্রচুর পাথর উদ্ধার হয়েছে। তাহিরের বাড়ির সামনে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মাকে মেরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। তাহির দেখেও অঙ্কিতকে বাঁচাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগেই তাহিরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। আপ তাকে সাসপেন্ড করে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর এই প্রথম আপ সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছে, ঘটনায় দায়ী বিজেপি নেতারা। প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু দলের নেতা-মন্ত্রীকে বাঁচাতে আপের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে যা লজ্জাজনক। তবে হিংসার পরে একবারের জন্যও মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, তাঁর মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে না যাওয়ায় মানুষের অভিযোগের তীর আপের দিকে। কংগ্রেস সাংসদ মনু সিংভি বলেছেন, একদিকে বিচারপতিকে সরিয়ে দলের নেতাদের বাঁচাচ্ছে বিজেপি, অন্যদিকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তাকে আড়াল করে সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, আসলে ঘটনায় তাদের প্রত্যক্ষ মদত ছিল।