উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর মহকুমায় বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন । এই এলাকায় ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার । এই কথা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরা জুড়ে । তারই প্রতিবাদে এই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র জম্মুই হিল-এ বসবাসকারী মিজো নাগরিকরা এব্যাপারে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চকে সমর্থন করেছেন । যার নিট ফল, স্থানীয় বাসিন্দা এবং শরণার্থীদের মধ্যে বিভাজন আরও বেড়েছে । নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এরই পাশাপাশি নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৯৩ টি বাঙালি পরিবারের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে । সংগঠনের অভিযোগ, ব্রু শরণার্থীরা বেছে বেছে আদিবাসীহীন গ্রামগুলিতে হামলা চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গত , ত্রিপুরায় প্রায় ৩৪ হাজার ব্রু বা রিয়াং শরণার্থী আছে । তাদের পুনর্বাসন দিতে ১৬ জানুয়ারি দিল্লিতে এক চতুর্পক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ত্রিপুরা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ।
প্রায় ২০ বছর ধরে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী হিসেবে রয়েছে ব্রু-রা।
পাঁচটি স্থানীয় মিজো গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ। আশঙ্কা করা হচ্ছে জাতিগতভাবে সংবেদনশীল কাঞ্চনপুরে এইসব শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হবে। যদিও ত্রিপুরা সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ব্রু শরণার্থীদের রাজ্যের তিন থেকে চারটি মহকুমায় জায়গা করে দেওয়া হবে।এদিকে ধর্মঘট নিয়ে উত্তেজনা কমাতে কাঞ্চনপুরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে । অসম রাইফেলসের যে বাহিনী সেখানে আগে থেকেই রয়েছে, তাদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে। কড়া নজর রাখা হচ্ছে ধর্মঘটীদের ওপর।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.