রাজ্যসভার ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কারা? রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা। মেয়াদ শেষ হচ্ছে পাঁচ সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান, মনীশ গুপ্ত, কে ডি সিং, যোগেন্দ্রনাথ চৌধুরী এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আপাতত যেটুকু খবর তাতে একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূলের ৪ সাংসদই আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত এবং এই মুহূর্তে তৃণমূলঘনিষ্ঠ নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। খুব শীঘ্রই সম্ভবত তাঁকে দলের সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে।
নয়া প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনায় সবচেয়ে বড় চমক অবশ্যই দলের ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেডের সঙ্গে চরম বিরোধিতায় নেমে ট্যুইট করেন পিকে। আর তার জেরেই দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ফলে আপাতত অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই ভোটগুরুর। তৃতীয় নাম প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। ভিন রাজ্যে তৃণমূল প্রতিনিধিদলে বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে সম্প্রতি বারবার দেখা গিয়েছে। দিল্লিতে দীনেশের পরিচিতি ও রাজনৈতিক যোগাযোগও যথেষ্ট। চতুর্থ নাম মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন সাংসদ মৌসম নূর। গত লোকসভা ভোটে হেরে যান মৌসম। গণি খান পরিবার এবং যুব প্রতিনিধি মৌসম দলের অন্যতম মুখ হতে পারেন রাজ্যসভায়। ফলে তাঁর নামও প্রবলভাবে আলোচনায়।পঞ্চম আসন নিয়ে আলোচনা চলছে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থী জানানো হতে পারে। চারটি আসনে তৃণমূলের জয় সুনিশ্চিত। পঞ্চম আসনে বাম-কংগ্রেস জোটের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। যদিও সেক্ষেত্রে দু’দলের সর্বমোট ৪৮টি ভোটই পোলিং করতে হবে।
তবে প্রার্থীপদ নিয়ে তৃণমূল সরকারিভাবে কিছুই জানায়নি। যে নামগুলি উঠে এসেছে তা রাজনৈতিকমহলে তুমুলভাবে আলোচিত।
২৬ মার্চ দেশ জুড়ে রাজ্যসভার ৫৫ আসনে ভোট। ৬ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি, ১৩ মার্চ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ১৭ রাজ্যে ভোট। ২৬শে ভোট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। ফল সেদিনই বিকেল পাঁচটায়।





























































































































