খোদ পুলিশের হাত থেকেই হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন অভিযুক্ত। তাঁর খোঁজে নাজেহাল পুলিশ। পরে কলেজ ছাত্রদের সাহায্যে শহরের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে সিউড়ি থানার হাটজন বাজার কলোনির বাসিন্দা সজল চক্রবর্তীকে মাদক বিক্রির সময় হাতে নাতে ধরে পুলিশ। তাঁকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করে সিউড়ি থানার পুলিশ ।
ধৃত সজল চক্রবর্তীকে বুধবার সিউড়ি জেলা আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের কোর্টে তোলার জন্য রওনা হয় পুলিশ। আদালতে পৌঁছানোর পর এজলাসের সামনে থেকেই হাতকড়া পরা অবস্থায় পুলিশের সামনে গা ঢাকা দেন সজল। অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে থেকে হঠাৎ একজন পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা যখন পুলিশের নজরে আসে ততক্ষণে আদালত চত্বরে সীমানার বাইরে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
শুরু হয় খোঁজ। পুলিশকর্মী মীর আলম হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে একাই ধাওয়া করেন। স্থানীয় দের কথায়, ‘‘যেহেতু হাতে হাতকড়া ছিল তাই অনেকেরই নজরে আসে একজন অভিযুক্ত ছুটে পালাচ্ছে।’’
কোর্ট থেকে প্রায় তিন কিমি দূরে শহরের বাইরে জাতীয় সড়ক ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ক্যাম্পাস-এ ঢুকে পড়েন অভিযুক্ত। কলেজ ক্যান্টিনের পাশে একটি ঝোপে ঢুকে যান। ছাত্ররা একজন লোককে লুকোতে দেখে এগিয়ে আসে। ততক্ষণে পুলিশ কর্মী মীর আলম হোসেন বাইক নিয়ে পৌঁছে যান ওই চত্বরে। এদিকে কলেজের পডুয়ারা ঘিরে ধরে অভিযুক্তকে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রদের সাহায্যে শেষমেষ পলাতকের নাগাল পান পুলিশকর্মী। হাতকড়া দিয়ে বাইকের সঙ্গে তালা লাগিয়ে বাইকে চাপিয়েই ফের আসামী নিয়ে আসা হয় কোর্টে।
সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাদক মামলায় গ্রেফতার এক আসামীকে এদিন আদালতে তোলার সময় পুলিশি ব্যবস্থার শিথিলতার কারণে হ্যান্ড কাপ পরা অবস্থায় সজল চক্রবর্তী নামে এক অভিযুক্ত পালিয়ে যান। তাঁকে তিন কিলোমিটার দূর থেকে পুলিশ আবার ধরে নিয়ে এসে আদালতে হাজির করেছে।”
আরও পড়ুন-ফের পুলিশ হেফাজতে পোলবার পুলকার চালক