KMC vote 101: মমতা-অভিষেকের নির্দেশে কাজ করেই সৌন্দর্য-সৃজনশীলতায় সাফল্য বাপ্পাদিত্যর

0
1

কলকাতা কি লন্ডনের রূপ পেয়েছে? নাকি কলকাতা আছে কলকাতাতেই? এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক থাকলেও, কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ড যে গত কয়েক বছরে সকলের নজর কেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মূলত, দক্ষিণ কলকাতার প্রান্তিক অঞ্চল বাঘাযতীন-গাঙ্গুলি বাগান-পাটুলি-শহীদ বেদী-ফুলবাগানের মতো কলোনি এলাকাগুলি নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ওয়ার্ড। একটা সময় যা ছিল বামেদের শক্ত ঘাঁটি। এখান থেকে বছরের পর বছর জিততেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য-এর নির্বাচনী এজেন্ট বা তাঁর সহধর্মিনী। তবে ২০১৫ সালের পুরনির্বাচনে সেই মিথ ভাঙে। প্রথমবারের জন্য এই ওয়ার্ড থেকে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের শক্তঘাঁটিকে তছনছ করে দিয়ে ১০১ নম্বর ওয়ার্ড-এ পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হন ঘাসফুল শিবিরের নতুন প্রজন্মের নেতা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। আর রাতারাতি ভোল বদলাতে শুরু করে পিছিয়ে পড়া ১০১ নম্বর ওয়ার্ড। এলাকাবাসীর দাবি, বর্তমানে এই ওয়ার্ড

সৌন্দর্য-সৃজনশীলতার শীর্ষে!

অথচ, বছর কয়েক আগেও কলকাতার অনুন্নত ওয়ার্ডগুলির মধ্যে ছিল ১০১ নম্বর। কিন্তু রসায়ন কী?কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত জানালেন, তিনি ছোট থেকে ক্লাব করে বড় হয়েছেন। সেখান থেকেই অভিজ্ঞতা অর্জন। এলাকার একাধিক পার্ক, জলাশয়, রাস্তাঘাট, আলো লাগিয়ে একটা মডেল ওয়ার্ড তৈরি করাই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাই শুরু থেকেই পুরসভার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কাছে ফান্ডের জন্য তদবির করেছিলেন। এবং তিনি যথেষ্ট আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।

আগামীদিনে দল যাকেই প্রার্থী করুক, ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল জিতবে। এবং আরও কাজ হবে। এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল পরিশ্রুত পানীয় জলের। সেই কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ সম্পূর্ণ বলে দাবি করেছে বাপ্পাদিত্য। বেশ কয়েকটি পাম্পিং স্টেশন হয়েছে। আরও কয়েকটি হবে বলেও জানান তিনি। সে কাজে এলাকার সাংসদ মিমি চক্রবর্তী যথেষ্ট সাহায্য করেন। প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসুও ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নতিতে প্রভূত সহযোগিতা করেছেন। প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যসভার সাংসদ মনীশ গুপ্তের আশীর্বাদ সবসময় তাঁদের সঙ্গে আছে। আর সর্বোপরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অনুপ্রেরণা ও নির্দেশ মেনে কাজ করেই এলাকার উন্নয়নে সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবি করলেন বাপ্পাদিত্য।

কলকাতা পুরসভা এলাকার অন্যতম সমস্যা ডেঙ্গু। ব্যতিক্রমী নয় ১০১ নম্বর ওয়ার্ড। বাপ্পাদিত্য-এর কথায়, ডেঙ্গু গোটা কলকাতারই একটা সমস্যা। কিন্তু ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষের নির্দেশে ডেঙ্গু নিয়ে ওয়ার্ডে যথেষ্ট কাজ করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, এখন ডেঙ্গু নিয়ে এলাকাবাসী বেশ সচেতন।

এবার পুরসভা নির্বাচনে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ কারা? বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সোজাসাপটা উত্তর, এখানে বিজেপির কোনও অস্তিত্ব নেই। যেহেতু যাদবপুর দীর্ঘদিন বামেদের ঘাঁটি, তাই এবারও এখানে মূল প্রতিপক্ষ বামেরাই।

যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন, ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে পেশী শক্তি প্রয়োগ করে ভোট যেতে তৃণমূল। সুজনের অভিযোগ উড়িয়ে বাপ্পাদিত্য-এর দাবি, যদি পেশী শক্তি প্রযোগ করা হতো, তাহলে এখান থেকে সুজনবাবু জিতলেন কীকরে? উনি এলাকায় আসেন না। শুধু বাইরে থেকে অভিযোগ করেন। এরপরই বাপ্পাদিত্য বলেন, তাঁরা সিপিএমের মতো হুমকি নয়, প্রতিটি ভোটারকে গোলাপফুলে বরণ করেন।