গ্রাহকের কাছে রয়েছে ব্যাঙ্কের লকারের চাবি। অথচ সেই লকার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে সোনার গয়না। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। ঘটনার তদন্তে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।
কলকাতার ব্রড স্ট্রিটের বাসিন্দা ভীমভন্দ্র মাইতি। পেশায় চিকিৎসক তিনি। তাঁর স্ত্রী রেবা মাইতির গড়িয়াহাটের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় লকার রয়েছে। সেই লকার থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছে ৩০০ গ্রামের বেশি সোনার গয়না। বর্তমানে যার বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা।
গত বছর ১৬ মে শেষবার লকার খোলা হয় বলে জানিয়েছেন ওই দম্পতি। ব্যাঙ্কের লকারে একটি স্টিলের বাক্সে ওই গয়না রাখেন। তারপরেই ছেলের সঙ্গে আমেরিকা চলে যান তাঁরা। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা লকার খুলে দেখেন, একটি বাক্সে কোনও গয়না নেই। অন্য একটি স্টিলের বাক্সে অবশ্য কিছু গয়না ছিল। গয়না দেখতে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জানান। রেবা মাইতির অভিযোগ, ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী লকার খুলতে গেলে তাঁদের চাবির সঙ্গে ব্যাঙ্কেরও একটি চাবির প্রয়োজন। ১৫ তারিখ তাঁরা যখন লকার খুলতে যান, তখন ব্যাঙ্কের চাবি প্রথমে কাজ করছিল না। পরে অন্য একটি চাবি এনে লকার খুলতে হয়। যদিও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার তা মানতে চাননি। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ওই দম্পতির অভিযোগ পেয়ে ব্যাঙ্কের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লকার রুমে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরাও থাকে না। সুতরাং কেউ ওই ঘরে ঢুকেছিল কিনা তা জানা কার্যত অসম্ভব।
গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। থানার তরফে ব্যাঙ্কে গিয়ে তদন্ত করা শুরু হয়েছে। লকার রুমে সিসিটিভি না থাকলেও বাইরের সিসিটিভি দেখে ওই রুমে কেউ ঢুকেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.




























































































































