ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাত্র ২ রানে শুক্রবার ফিরেছেন বিরাট কোহলি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালের পর এ রকম রান-খরা তাঁর কেরিয়ারে প্রথম।চলতি নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি, একদিনের ম্যাচ ও চলতি টেস্ট মিলিয়ে আট ইনিংস খেলে ফেলেছেন ভারত অধিনায়ক। এর মধ্যে মাত্র একটি ইনিংসেই ৫০ পেরিয়েছেন তিনি। এমনকি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত ১৯ ইনিংসে একবারও তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি কোহলি। তাঁর শেষ সেঞ্চুরি এসেছিল গত নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে। গোলাপি বলে দিন-রাতের সেই টেস্টে ১৩৬ রান করেছিলেন তিনি।
শেষ আট ইনিংসে একটা মাত্র হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। কোহলির ক্রিকেট কেরিয়ারে এমন সময় আগেও দু’বার এসেছে। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর, এই সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ২৪ ইনিংসে একবারও সেঞ্চুরি করেননি কোহালি। সেই সময় তাঁর সার্বিক গড়ও কমে গিয়েছিল অনেক। ২০১১ বিশ্বকাপের আগে সব ফরম্যাট মিলিয়ে তাঁর গড় ছিল ৪৮। সেটাই সাত মাস পর কমে দাঁড়ায় ৩৯!এর তিন বছর পর, ২০১৪ সালে কোহালির পারফরমেন্স আরও খারাপ হয়। সেই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে টানা ২৫ ইনিংসে একটাও সেঞ্চুরি আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। সেই সময় ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসে তিনি করেন মাত্র ১৩৪ রান। অফস্টাম্পের বাইরে জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বার বার আউট হয়েছিলেন সেই সময়।
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিন যে ভাবে স্লিপে খোঁচা দিয়ে ফিরলেন, তাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা সেই ইংল্যান্ড সফরের ছায়াই দেখতে পাচ্ছেন আর আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন।ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যেক ছয় ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কোহালির। পরের ১৯ ইনিংসে একটা সেঞ্চুরিও আসেনি। যা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। ২০১১ সালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র চারটি পঞ্চাশ করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের সেই কঠিন সময়ে হাফ-সেঞ্চুরির সংখ্যা ছিল ছয়। আর এ বারও, গত ১৯ ইনিংসে ছয় বারের বেশি ৫০ আসেনি তাঁর ব্যাটে।
যদিও কোহলি ফের দুঃসময় কাটিয়ে উঠে স্বমহিমায় ফিরবেন কবে সেই আশায় দিন গুণছেন তাঁর ভক্তরা।






























































































































