শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়। তারপর মিডল অর্ডারে দুরন্ত লড়াই। দিনের শেষে স্বস্তির হাওয়া বাংলা শিবিরে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ওড়িশার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম দু’দিনে সেই ছবিই দেখেছিল কটকের ড্রিমজ গ্রাউন্ডে।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয় ওড়িশা।পিচে ঘাস আর বাতাসে আর্দ্রতা থাকায় প্রথম সেশনে বিপক্ষ পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি বাংলার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৪৬ রানে পড়ে যায় ৫ উইকেট। কিন্তু প্রতি-আক্রমণেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে বের করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। শতরান পূর্ণ করতে তাঁর লেগেছে ১২৮টি বল। ১৩৬ রানে তিনি অপরাজিত। ২০টি বাউন্ডারি এসেছে অনুষ্টুপের ব্যাট থেকে। সপ্তম উইকেটে শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে ১৬৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। অনুষ্টুপের দুর্দান্ত ব্যাটিং সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে মেরেকেটে ৩৩২ তুলল বাংলা। ম্যাচে প্রধান্য বিস্তার করতে এখন বোলারদের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারিরা।
৩৪ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দেন শ্রীবৎস। অনুষ্টুপের কথায়, ‘শ্রীবৎসের সঙ্গে ৯৫ রানের পার্টনারশিপটাই টার্নিং পয়েন্ট। প্রবল চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রেখে আমরা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পেরেছিলাম বলেই ওড়িশার বোলাররা ব্যাকফুটে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। ১৫-১৬ বছর ধরে বাংলার হয়ে খেলছি। এরকম বহু ম্যাচের সাক্ষী থেকেছি আমি। তাই বাড়তি কোনও চাপ অনুভব করিনি।’
কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে তৃপ্ত অনুষ্টুপ বলেন, ‘দিল্লির বিরুদ্ধে ৯৯ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পর খুব আক্ষেপ হয়েছিল। তা অবশেষে মিটল। রনজিতে শেষ শতরান পেয়েছিলাম বছর তিনেক আগে। আমি কখনই ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা মাথায় রেখে খেলি না। দলের সাফল্যই আমাকে বেশি আনন্দ দেয়। ম্যাচটা জিতলে এই ইনিংস প্রাপ্য সম্মান পাবে।’
অনুষ্টুপের পাশাপাশি, শাহবাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ অরুণলাল। তাঁর বক্তব্য, ‘এত ভালো অলরাউন্ডার বহুদিন পরে পেয়েছে বাংলা। প্রত্যেক ম্যাচেই ও ব্যাটে কিংবা বলে কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছে।
ওড়িশার হয়ে ৪ উইকেট নেন বসন্ত মোহান্তি। ৩ উইকেট নেন সূর্যকান্ত প্রধান। ম্যাচে এগিয়ে থাকতে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া ছাড়া বাংলার আর কোনও উপায় নেই। কী হবে তা সময়ই বলবে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.