মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিলাসবহুল ক্যাডিলাক গাড়িটি নিয়েও মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। গাড়িটি অতীতের অন্য যে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহার করা গাড়ির চেয়ে অনেক বেশি উন্নত ও সুরক্ষিত। ট্রাম্পের এই নতুন গাড়িকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ি। কী কী আছে ‘বিস্ট’ নামের ওই গাড়িটিতে ?
বিশ্বখ্যাত জেনারেল মোটরস কোম্পানি ট্রাম্পের ব্যবহারের জন্য গাড়িটি তৈরি করেছে। আট টন ওজনের বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত এই গাড়িটির দাম ১২ লাখ মার্কিন ডলার। গাড়িটির দরজার কাঁচ বোয়িং বিমানের মতো উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি। যে কোনও ধরনের বোমা এবং রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা ঠেকাতে সক্ষম এই গাড়িটি।আট ইঞ্চি পুরু দরজার এই গাড়িটিতে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এটি রাস্তার পাশে বিস্ফোরিত বোমার হামলা থেকেও প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। 
এখানেই শেষ নয়, ট্রাম্পের গাড়িতে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, এর মাধ্যমে রাসায়নিক হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে গাড়িটি।অস্ত্রে সজ্জিত গাড়িটিতেে একটি শটগান, টিয়ারগ্যাস এবং জরুরি প্রয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্টের গ্রুপের রক্তের বোতল থাকবে গাড়িতে। গাড়ির সামনে দুজন, মাঝখানে তিনজন এবং পেছনে দুজন বসতে পারবেন।পেছনের যে আসনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসবেন, তার সঙ্গে উপগ্রহ টেলিফোন সংযোগ থাকবে। এর মাধ্যমে ট্রাম্প সর্বক্ষণ দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পেন্টাগনের সঙ্গে সংযোগ রাখতে পারবেন।
গাড়িটি শক্তিশালী স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও সিরামিকস দিয়ে তৈরি। গাড়ির নিচে স্টিলের একটি প্লেট রয়েছে। এর দরজার কাাঁাঁ চ বোয়িং-৭৫৭ জেট বিমানের মতো উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি। যে কোনও ধরনের বোমা ও রাসায়নিক অস্ত্রের হামলা ঠেকাতে সক্ষম এটি। পলিকার্বনেটযুক্ত জানালার কাঁচ পাঁচটি স্তরের, যা বাইরে থেকে করা গুলি সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কোনও ব্যক্তি এই গাড়ির চালাবেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বুলেটপ্রুফ গাড়িটির দরজা-জানালার কাঁচ নিচে নামাতে পারবেন। বন্দুক রাখার জায়গাটি বোমা নিরোধক স্টিলের একটি প্লেট দিয়ে তৈরির বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে গাড়িটিতে। গাড়ির চাকার টায়ারের নিচে বিশেষ স্টিলের লেয়ার সংযুক্ত করা হয়েছে। কোনও কারণে টায়ার ফেটে গেলেও গাড়ি থাকবে নিরাপদ।
গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য ড্যাসবোর্ড রয়েছে—যা জিপিএস পদ্ধতির মাধ্যমে কেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে পারবে। রাতে দেখার জন্য আছে ক্যামেরাও। গাড়িটির সামনে রয়েছে ক্যামেরা।
প্রেসিডেন্টকে হস্তান্তরের আগে হোয়াইট হাউস এই গাড়িটি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। গাড়িটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস মাত্র ১২টি এমন গাড়ি বানিয়েছে। বিশ্বের অন্য দেশে ভ্রমণে গেলে এই গাড়িটিই বর্তমানে ব্যবহার করেন ট্রাম্প।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































