‘বন্ধু’ নেতা-নেত্রীরা ব্রাত্য, মোদির পর অমিত শাহ ও বিজেপি সাংসদদেরও শপথে আমন্ত্রণ কৌশলী কেজরির

0
5
ফাইল চিত্র

দিল্লি বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে দুরমুশ করার পর যেসব বন্ধুরা আহ্লাদে আটখান হয়ে তাঁকে ফোন আর শুভেচ্ছার ট্যুইটে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের কাউকে নিজের শপথে ডাকলেনই না অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফলে মমতা, স্ট্যালিন, বিজয়ন, চন্দ্রবাবু, অখিলেশ অথবা কংগ্রেস ও অন্য আঞ্চলিক দলের কোনও মুখ্যমন্ত্রীর কাছেই আপের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি। উল্টে কেজরির শপথে আমন্ত্রিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দিল্লির সাত লোকসভা কেন্দ্রের সাত বিজেপি সাংসদ।

এই আপাত অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপের পিছনে তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলা কেজরিওয়ালের সুচিন্তিত পদক্ষেপ ও পরিণত কৌশলের ছাপ স্পষ্ট। কেজরি বুঝেছেন, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর এখন দিল্লিবাসীকে দেওয়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পূরণই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। সেজন্য শুরু থেকে সব কিছুতেই কেন্দ্রের বিরোধিতা করার গোঁয়ার্তুমি না দেখিয়ে বরং সৌজন্য ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে চলতে চান। তাই প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিজের শপথে আমন্ত্রণ। এই একই উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাত বিজেপি সাংসদকে। যদিও কেজরির শপথে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে মোদি বা শাহের যোগ দেওয়ার খবর নেই, তবু আপ প্রধানের এই সচেতন সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট, রাজনীতির চেয়েও এই মুহূর্তে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আরও একটি বিষয়। বিজেপি ও কংগ্রেস দুই জাতীয় দলকে হারিয়ে জিতেছে আপ। আম আদমি পার্টির সেই কৃতিত্ব কেজরি কেন বাদবাকি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ভাগ করতে যাবেন? বিজেপি বিরোধী মঞ্চ তৈরির বাধ্যবাধকতা তাঁর অন্তত এই মুহূর্তে নেই। ফলে যাঁরা ভাবছিলেন রবিবার রাজধানীর রঙ্গমঞ্চে লাইন দিয়ে হাতে হাত ধরে সহাস্য ফটোসেশনের পর বিজেপিকে দেশ থেকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে প্রচারে থাকবেন, তাঁদের বাড়া ভাতে ছাই ফেললেন স্বয়ং কেজরিওয়ালই।