“শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরশুম…”
আজকের কিশোর প্রজন্ম হয়ত দেখেছে, কিন্তু তারুণ্যের শেষ প্রান্তে যাঁরা পৌঁছেছেন, তাঁরাও মা-বাবাকে প্রেমের জন্য একটি বিশেষ দিন পালন করতে দেখেননি। ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ শব্দটা সেই সব বাবা-মায়েদের থোড়-বড়ি-খাড়া জীবনে বেশ বেমানান। তাহলে কি তাঁদের জীবনে প্রেম নেই? হাতে হাত রেখে, কাশির ওষুধ বাড়িয়ে দিয়ে, পছন্দের খাবার রেঁধে, ওভার টাইমের টাকা দিয়ে একটা দামী শাড়ি কিনে দিয়েই ইতি পড়ে ভালবাসায়? 
কর্তার সুগারটা বেড়েছে তাই তাঁর জন্য আলাদা করে তেতো রান্না, গিন্নির ধুলোয় অ্যালার্জি তাই তাঁর পছন্দের গীতবিতানটা নামিয়ে ধুলো ঝেড়ে দেওয়া, বাজার থেকে পছন্দের মাছ বা শাক নিয়ে আসা এবং গজগজ করতে করতেও কর্তার জন্য অবেলায় সেই শাক-চচ্চড়ি রাঁধা-এই ভাবেই নিজেদের ভালবাসার তরীটা বেয়ে চলেছেন তাঁরা।
বিশেষ কোনও দিনে রঙিন কাগজে মোড়া গিফট নয়, রেস্তোরাঁর নরম আলোয় পানীয় সহযোগে নৈশভোজ নয়, পুরনো ক্যাসেট প্লেয়ারটা সারিয়ে তাতে সন্ধ্যা-আরতি-লতা-গীতা-হেমন্ত-মান্না-শ্যামল শুনেই তাঁরা রোমান্টিক। আর তার জন্য রেশ রাখা শীত আর বসন্তের আগমনের মাঝে কোনও আনচান করা দুপুর বা শিরশিরানি সন্ধের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় বিশ্বাসের, পারস্পরিক বোঝাপড়ার, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার ইচ্ছের। সেটা যাঁদের আছে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ তাঁদের কাছে নিতান্ত একটা দিন মাত্র। বা সদ্য বিবাহিত ছেলে-মেয়ে বা প্রেমে পড়া নাতি-নাতনিদের থেকে শোনা রূপকথার গল্প।
কিন্তু ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালন করার পরের দিনই যদি শুকনো গোলাপের পাপড়ির মতো ঝরে যায় হাসি, যদি সন্দেহের বীজ পুঁতে যায় সম্পর্কের ভিতে, যদি কথার পরে কথা সিলিং ছুঁয়ে যায়- তাহলে একটা দিন উদযাপন বাঁচাতে পারবে তো সব কিছু! ভালবাসার গভীরতা কি একদিনে মাপা যায়? না কি নিত্যদিন ছোটখাটো চাওয়া-পাওয়া, দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে হবে লাল গোলাপকে? উত্তর খুঁজছে দুই প্রজন্মই।
“বাতাসে বহিছে প্রেম / নয়নে লাগিল নেশা / কারা যে ডাকিল পিছে / বসন্ত এসে গেছে…”
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.






























































































































