করোনাভাইরাসে মৃত্যু ৮০৩ ছাড়াল, সার্সের মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ স্বাস্থ্য-সংকট

0
3

২০০৩-এ সার্সের মৃত্যুমিছিলকেও ছাপিয়ে গেল এবারের পরিস্থিতি। শনিবার রাতের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৮০৩ জনের। এই তথ্য প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে, করোনার সঙ্কট দু-দশক আগে সার্সের মহামারীকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে। সার্সে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪ জন মানুষের। সেবারও আক্রান্ত হয়েছিল চিন। আর এবার সংক্রমণ আরও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। বহুক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কোনও উপসর্গ ধরা পড়ছে না। চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকে লকডাউন করে চিনের অন্যান্য অংশের থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। রোগের প্রতিষেধক এবং ওষুধ কোনওটাই না থাকায় মৃত্যুমিছিল আটকাতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসকরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত এক করে ফেলেছেন চিনের চিকিৎসকরা। প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত শুধু চিনেই। হাসপাতালেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় সংক্রমণের সমস্যা আরও বাড়ছে। চিনের কমিউনিস্ট প্রশাসকের বজ্রআঁটুনি ও পুলিসের হুমকি উপেক্ষা করে লি ওয়েনলিয়াং নামে উহানের যে তরুণ চিকিৎসক প্রথম এই নভেল করোনাভাইরাসের বিপদ সম্পর্কে নিজের দেশ ও বিশ্বকে সতর্ক করেছিলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ সেই ৩৩ বছরের লির জীবনও কেড়ে নিয়েছে। ফলে আইসোলেশনে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

উহানের একটি পশুখাদ্যের বাজার থেকেই করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছে বলে অনুমান। তবে কোন প্রাণীর মাংস থেকে এই মারণ রোগ ছড়িয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। প্রথমে বলা হয়েছিল বাদুড় ও সাপ এই রোগের বাহক। পরে বলা হল সাপের মাংস থেকে রোগ ছড়ায়নি। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ এখন বলছেন, সরাসরি বাদুড় থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ নাও ঘটতে পারে। মধ্যবর্তী বাহক হিসাবে পিপিলিকাভূক প্রাণীটির কথা বলা হচ্ছে। বিরল প্রজাতির এই প্রাণীর আঁশের মত চামড়া ও মাংস চিনে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির উপকরণ হিসাবে খুবই মূল্যবান ও জনপ্রিয়। যদিও পিপিলিকাভূকই রোগের অন্যতম বাহক তা জানায়নি হু।