ট্যাংরায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু ও বধূকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ক্রমেই জটিল হচ্ছে। মৃতের পরিবারের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সে করে গিয়ে পুত্রবধূকে অপহরণের চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চাকায় আটকে যান প্রৌঢ় গোপাল প্রামাণিক। তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অপহরণের তত্ত্ব মানতে নারাজ পুলিশ। তাদের দাবি, দ্রুতগতির অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কাতেই মৃত্যু হয়েছে গোপাল প্রামাণিকের। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিসের মত, দুর্ঘটনা ঘটলেও, বধূকে জোর করে গাড়িতে তোলার কোনও প্রমাণ মেলেনি। মহিলা পুলিসকে ভুয়ো অভিযোগ করলে, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ট্যাংরার বাসিন্দারা। গোবিন্দ খটিক রোডে রাস্তায় অবরোধ করেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, অভিযুক্তের থেকে ঘুষ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। “আমরাও পুলিসকে ঘুষ দিতে তৈরি। পুলিশ মিথ্যা বলা বন্ধ করুক।” এই অভিযোগে হাতে টাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
এদিকে, অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও গাড়িতে থাকা তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে। বধূ জানান, যদি দ্রুত গতিতে আসা অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কাতেই তাঁর শ্বশুরের মৃত্যু হয়, তাহলে তিনি কী করে গাড়ির চালককে শনাক্ত করতে পারলেন? তাঁকে অপহরণের সময়ই তিনি অভিযুক্তদের দেখতে পান বলে দাবি ওই বধূর। এই পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলের সব সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় আরও তথ্য ও বয়ান সংগ্রহ করছে পুলিশ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.