বনগাঁর জনসভায় মঙ্গলবার ফের এনআরসি ও সিএএ নিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে এই আইনের বিরেধিতায় তিনি বললেন, “NRC-র প্রথম ধাপ NPR (জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ)। তাই আমি এনপিআর-ও করতে দিইনি। এখন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন, সংশয়ের কথা বলছে। অথচ নাগরিক না হলে ভোট দেবেন কীভাবে, আর সেই ভোটেই জিতে এল কীভাবে? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আপনারা সকলেই নাগরিক। ভোটার কার্ড ভালভাবে তৈরি করবেন, কোনও চিন্তা করবেন না। আমরা পাশে আছি। বিপদে আমি সকলের পাশে থাকি, কিন্তু নিজেকে ‘চৌকিদার’ বলি না।”কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ , প্রথমে একটা ফর্ম এ বলতে হবে নাগরিক নই ,মানে আপনি ছিলেন নাগরিক হয়ে গেলেন বিদেশী পাঁচ বছর এর জন্য। তারপর ওরা ঠিক করবে নাগরিক কিনা। ওরা কে এটা বলার জন্য । আমরা থাকতে কেউ নাগরিকদের অধিকারকে কেড়ে নিতে পারবে না। এখন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস ভাই ভাই হয়ে গিয়েছে । সিপিএম বাংলার জন্য কোনওদিন কিছু করেনি । দিনে করে কংগ্রেস/সিপিএম আর রাতে করে বিজেপি। আমাদের দল অন্যায় কিছু করেনা।
এদিন তিনি অসমের NRC প্রসঙ্গও উল্লেখ করলেন। বললেন, “আপনারা অসমে দেখেছেন, NRC-র নামে কী হয়েছে। হিন্দু নাগরিকদের সকলের নাম তালিকায় থাকবে বলে নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু দেখা গেল, বাদ যাওয়া ১৯ লক্ষে মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু বাঙালি।”
আসলে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষেই অধিকাংশ মতুয়া। সেই সমর্থনকে কিছুটা প্রতিহত করতে CAA বিরোধী আন্দোলনের মধ্যভাগে তিনি বেছে নিয়েছিলেন বনগাঁকে।এমনকি, স্থানীয় বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের প্রভাবও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করলেন।এদিন জামিয়া মিলিয়া, শাহিনবাগে ধারাবাহিকভাবে গুলিচালনার ঘটনা এবং যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ‘গুলি’ নিদানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুলি চালাও। কেন্দ্রের মন্ত্রীদের গলায়ও একই সুর। কেন্দ্রের সরকারের উচিত, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। তা না করে এরা গুলি চালানোর নিদান দিচ্ছেন! ছাত্র আন্দোলনের উপর অযথা হামলা হচ্ছে।”
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.