সংসদের বাজেট অধিবেশনে একটি ‘অ-কংগ্রেস অ-বিজেপি’ কক্ষ সমন্বয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার কথাই ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুক্রবারই স্পষ্ট হয়েছে এবার কারও সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি- বিরোধিতার পথে হাঁটবে না তৃণমূল। শুক্রবার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার সময়ে তৃণমূল সাংসদদের হাতে ছিল সাদা রুমাল, তাতে লেখা ‘নো CAA, নো NRC’। কেন্দ্রের আনা ‘সাম্প্রদায়িক’ আইনের বিরুদ্ধে অন্যান্য বিরোধী দলকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভেও তৃণমূল যায়নি৷ তৃণমূলের বক্তব্য, “নোট বাতিলের পর আন্দোলনের রাশ হাতে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ CAA-NRC প্রতিবাদেও নেতৃত্ব কংগ্রেস বা অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। মোদি সরকারের বিরোধিতা করা হবে, কিন্তু তা করা হবে পৃথক ভাবে, স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে”। তাই
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা চলাকালীন একাই নীরব- প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল CAA-NRC বিরোধিতার স্লোগান লেখা রুমাল হাতে নিয়ে৷ তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস- সহ অন্যান্য বিরোধী দল৷ গত মাসের 13 তারিখে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী সমাবেশ নিয়ে প্রথমে উৎসাহ দেখিয়েও পরে যাননি মমতা। সূত্রের খবর, বিরোধী ঐক্যে ‘ফাটল’ ধরিয়ে, তৃণমূল পৃথক ভাবে কর্মসূচি রাখার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী শিবিরের একাংশ অভিযোগও তুলেছে, বিরোধী ঐক্যকে জমাট বাঁধতে না দিয়ে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল৷ বাম নেতাদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাপ তৃণমূলের উপরেও কম নেই। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ যথারীতি উড়িয়ে বলেছে, লোকসভা এবং রাজ্যসভা মিলিয়ে দলের যে সংখ্যা রয়েছে, তাতে নিজেদের মতো করে বিরোধিতা চলবে৷ তৃণমূল সূত্রের খবর, আপাতত একটি অ-কংগ্রেস অ-বিজেপি কক্ষ সমন্বয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার কথাই ভাবছে তারা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.































































































































