
পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফের সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় পাঠাতে তৎপর সিপিএম। রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট থাকায় সেই সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু ইয়েচুরি দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সে নিয়ে কিছু কিন্তু-যদি তৈরি হয়েছে। তাই দ্বিতীয় নাম হিসাবে উঠে এসেছে মহম্মদ সেলিমের নাম।
এই নিয়ে আলোচনার মাঝেই এমন একটি নাম উঠেছে, যা শুধু বাম নেতৃত্বকে চমকে দিয়েছে তাই নয়, দশবার ভাবতে বাধ্য করছে। নামটি হলো কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়া দেশের বাম আন্দোলনের শুধু প্রতিবাদী মুখ নয়, মোদি সরকারের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা। জেএনইউ ছাত্র আন্দোলনের মুখ। এমনকী দেশ জুড়ে যে আজাদি স্লোগানের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার জেলে ভরোর হুমকি দিচ্ছেন, তার জন্মদাতা তরুণ এই নেতা। প্রতিটি সভায় তাঁর আজাদি স্লোগান শুনতে আলাদা করে অনুরোধ আসে। দুরন্ত বক্তা। এবং বাম-অতিবাম-কংগ্রেস ও সমমনোভাবাপন্ন শক্তিকে একসঙ্গে নিয়ে চলার মানসিকতা রয়েছে তাঁর মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্র ফেডারেশনের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, মানুষ এখন তরতাজা মুখ দেখতে চাইছেন। কানহাইয়া ঠিক যেন সেই মুখ। সিপিএমের উচিত ছুৎমার্গ ছেড়ে সিপিআইকে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়া। ছেড়ে দেওয়া হোক কানহাইয়াকে সাংসদ করার শর্তে। সীতারাম এ রাজ্যের নন। তারপরেও তাঁকে সাংসদ করতে আপত্তি না থাকলে বিহারের বেগুসরাইয়ের কানহাইয়া নয় কেন? তরুণ ওই নেতা আরও বলেন, কানহাইয়া এখন শুধু বাম নন, এ দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি। সংসদে তাঁর চোখা চোখা মন্তব্যে বিড়ম্বনা বাড়বে মোদি সরকারের। তাঁর সঙ্গে সহমত রাজ্যের এক প্রাক্তন বাম সাংসদও। শুধু বাম নয়, কংগ্রেসের এক ছাত্রনেতাও এই প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়ে বলেন, কানহাইয়া হলো আগুনের গোলা। ওর যুক্তিতে ধরাশায়ী হচ্ছে বিরোধীদের বাঘা বাঘা বক্তারা। অসম্ভব জনপ্রিয়। ওর কথা দলের নেতৃত্ব ভাবলে বিরোধীদেরই লাভ।
বাম মহলে এ নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ছে। এই দাবি উপেক্ষা করার মতো নয়। ঘরোয়াভাবে আলোচনা চলছে। বাম ঘনিষ্ঠ এক বুদ্ধজীবী বললেন, যদি কানহাইয়াকে রাজ্যসভায় পাঠানো হয়, তাহলে জানব বামেদের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।
আরও পড়ুন-হাড়োয়ার স্কুলে সরস্বতী পুজোর অনুমতি দিতে হবে ,কুণাল ঘোষের কলম।