উত্তরবঙ্গে জমি উদ্ধারে আক্রমণাত্মক মমতা

0
3

উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। উপলক্ষ্য উত্তরবঙ্গ উৎসব। একদিকে উত্তরে দলের জমি উদ্ধার, অন্যদিকে দেশের ঐক্য বজায় রাখা, এই দুই বিষয় নিয়েই আত্মবিশ্বাসী ও আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে। কেন বারবার ফিরে আসেন বাংলার উত্তরে? মুখ্যমন্ত্রীর ভাষায়, দক্ষিণবঙ্গ আমার ঘর হলেও উত্তরবঙ্গ আমার আপন, প্রাণের। তাই বারবার এখানে আসি।

মুখ্যমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, দুই বাংলার উন্নয়ন ছিল আমার সরকারের প্রায়োরিটি। আমরা কাজের সুবিধার জন্য নতুন জেলা তৈরি করেছি। নয়া সেক্রেটারিয়েট উত্তরকণ্যা তৈরি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, নতুন বিমানবন্দর হচ্ছে, রাস্তা, সেতু হয়েছে। আরও হচ্ছে। প্রেস ক্লাবও হল।

এরপরেই ফিরে আসেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটা রাজনৈতিক দল বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। রাতে হামলাও হচ্ছে মাঝেমাঝে। সাফ বলছি, এই মাটিতে কোনও হামলা হতে দেব না। এটা মিলনের তীর্থ। এই উৎসবে আসবেন সকলে, হাতে হাত মিলিয়ে গড়ে তুলুন নাগরিক প্রতিরোধ।

সভায় উপস্থিত পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেন, এনআরসি, সিএএ নিয়ে ভাববেন না। আমি আছি। হবে না। আর আমি আছি মানেই বাংলার একশো শতাংশ মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। ওরা এনপিআর নিয়ে বলছে, বাবা-মার জন্ম সার্টিফিকেট দিতে হবে। আমি তো নিজেই দিতে পারব না। তাহলে সাধারণ মানুষ কী করে দেব! তারপর আবার ওরা বলছে, জন্ম সার্টিফিকেট না দিলেও চলবে। আরে মার্কশিটে একটা বিষয়ের নম্বর না থাকলে কেউ পাশ করে? আসল সময়ে ওই অসম্পূর্ণতা দেখিয়ে বাতিল করবে ফর্ম। তাই আমি বলছি, আগে কাগজ ঠিক করো তারপর আলোচনা। আক্রমণাত্মক মমতা বলেন, কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে অনেকে গিয়েছিলেন। আমি যাইনি। ওদের ভুল বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্কার বলছি, কেউ না থাকলে একলা চলো রে… আমি বিশ্বাস করি সুভাষবাদ, গান্ধীবাদে। একদিন তার জয় হবেই।