এবার একযোগে রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আক্রমণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তিনজনের গায়েই দেশবিরোধী ছাপ দিতে টেনে আনলেন ইমরান খানের উদাহরণ।
অমিত শনিবার কর্নাটকে প্রকাশ্য সভায় বলেন, পাকিস্তান প্রমাণ, চায়, প্রমাণ চায় রাহুল বাবারাও।
পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক হলে প্রশ্ন তোলেন ইমরান খান। আদৌ হামলা হয়েছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হলে প্রশ্ন তোলেন ইমরান, তোলেন রাহুল। সিএএ-র বিরুদ্ধে ইমরান, রাহুলও। এরপর অমিতের প্রশ্ন, মাঝে মাঝে আমার জানতে ইচ্ছা করে, ইমরান আর কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কটা কী?
বিরোধীরা বলছেন, বিজেপির এতোই দৈন্য দশা যে নিজেদের দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে ইমরান খান কিংবা পাকিস্তানকে টেনে আনতে হয় বারবার। ৩৭০ ধারা লাগু করে কাশ্মীরকে পঙ্গু করে দিয়েছে। প্রায় চার মাসের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে কাশ্মীর এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আর ভোট কিংবা দেশের কোনও ইস্যু নিয়ে মানুষ বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ হলেই সার্জিকাল স্ট্রাইকের গল্প শুরু হয়। বিজেপির এই রাজনীতি ধরে ফেলায় এখন বিরোধীদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে ব্যতিব্যস্ত। অন্যদিকে দিল্লির ভোটে অনেক এগিয়ে আপ। সেই কারণে তাকে খাটো করতে কেজরিওয়ালের এই আক্রমণ। আসলে এই ঘটনা বিজেপির রাজনৈতিক দৈন্যতাকেই সামনে এনেছে, বলছেন বিশিষ্টরা।































































































































