মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নান। চলবে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত। জোয়ারকে উপেক্ষা করেই রাত থেকেই গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের জন্য জনজোয়ার। শুধুমাত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো লাখো তীর্থযাত্রীর সমাগম নয়, যোগ দিচ্ছেন পুণ্যস্নানে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ, নেপাল, মরিশাস থেকে আসা ভিনদেশি মানুষজনও। অন্য বছরের মতো এবছর পুণ্যস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ নিয়ে মতবিরোধ নেই। পঞ্জিকা মতে, ১৪ তারিখে গভীর রাত থেকে শুরু হয়ে তা চলবে ১৫ তারিখ ১২টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। সাগরসঙ্গমে স্নান সেরে কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। রাতের অন্ধকার বা ভোরের কুয়াশা, কোনও কিছুই দমাতে পারছে না তাঁদের। ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই সাগরে স্নান করছেন তাঁরা।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা প্রশাসনের দাবি, এবছর গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। যা রেকর্ড। কারণ, হিসেবে মনে করা হচ্ছে প্রয়াগে কুম্ভ কিংবা অর্ধকুম্ভ মেলা না থাকা।
এদিকেব গঙ্গাসাগর মেলাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তৎপর প্রশাসনও। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স-সহ সমস্ত পরিষেবার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। আকাশ পথেও চলছে নজরদারি।
যাঁরা বিভিন্ন কারণে গঙ্গাসাগর যাননি বা পৌঁছতে পারেননি, তাঁরাও কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে বিশেষ করে বাবুঘাটে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান করছেন।