নির্ভয়া-কাণ্ডে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত মুকেশ সিং, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত এবং বিনয় শর্মা সম্পর্কে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে৷ তিহাড় জেল সূত্রে এ সব জানা গিয়েছে :
➡ গত 7 বছর জেলে বন্দি আছেন এই 4 জন৷
➡ বন্দি থাকা অবস্থায় বাকি 3জন তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট কাজ করলেও, কোনও কাজ করেনি নির্ভয়া কাণ্ডে অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিং।
➡ এই দীর্ঘ সময়ে বার বার নিয়মও ভেঙেছে এই 4 জন।
➡ বন্দি থাকাকালীন জেলকোড অনুসারে গত 7 বছর জেলের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে নির্ভয়া-কাণ্ডের এই সাজাপ্রাপ্তদের৷
➡ জেলের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিশ্রমের বিনিময়ে অক্ষয়, পবন এবং বিনয়, এই 3 জনের মোট আয় হয়েছে 1 লক্ষ 37 হাজার টাকা৷
➡ অক্ষয়ের একার রোজগার 69 হাজার টাকা৷
➡ পবন রোজগার করেছে 29 হাজার টাকা।
➡ বিনয় রোজগার করেছে 39 হাজার টাকা।
➡ একমাত্র মুকেশ সিং কোনও কাজ করতে একবারের জন্যও রাজি হয়নি।
➡ 2016 সালে ওই 4 জন নতুন করে পড়াশোনা শুরু করে।
➡ মুকেশ, পবন এবং অক্ষয় জেলের স্কুলে ক্লাশ টেন- এ ভর্তি হয়৷ অ্যানুয়াল পরীক্ষাতেও বসে।
➡ কিন্তু একজনও পাশ করতে পারেনি।
➡ 2015 সালে স্নাতকস্তরে ভর্তি হয় বিনয়। কিন্তু সে কোর্স শেষ করতে পারেনি৷
➡ গত 7 বছরে বার বার জেলের বিধিভঙ্গ করেছে এই 4 অপরাধী।
➡ মোট 11 বার জেলের নিয়ম ভেঙেছে বিনয়।
➡ পবন 8 বার নিয়ম ভেঙেছে।
➡ মুকেশ নিয়ম ভেঙেছে 3 বার৷
➡ 1 বার নিয়ম ভেঙেছে অক্ষয়-ও।
➡ নিয়ম ভাঙার অপরাধে তারা শাস্তিও পেয়েছে৷
➡ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে মাত্র 2 বার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি আছে 4 জনেরই।
➡ জেলের বিধি সবথেকে বেশিবার লঙ্ঘন করে শাস্তি পাওয়া বিনয়ের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবারই তিহাড়ে গিয়েছেন তার বাবা।
➡ দু’দিন আগে মুকেশের সঙ্গে তার মায়ের দেখা হয়েছে।
➡ মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর পরিবারের কোনও সদস্যই আর পবনকে দেখতে আসেনি।
➡ নভেম্বরে অক্ষয়ের সঙ্গে জেলে দেখা করে যান স্ত্রী।
➡ পৃথিবীর বৃহত্তম জেল চত্বর তিহারে একাধিক জেল রয়েছে৷
➡ নতুন কোনও আইনি জটিলতা দেখা না দিলে
তিহারের 3 নম্বর জেলে, এই 4 জনের ফাঁসি হওয়ার কথা৷
➡ গত রবিবার তিহারে ফাঁসির চূড়ান্ত মহড়াও
হয়ে গিয়েছে।
➡ ফাঁসির নির্দেশ শেষ পর্যন্ত কার্যকর হলে ভারতে এই প্রথমবার একসঙ্গে 4 জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে।
➡4 জনকে ফাঁসিতে ঝোলাতে মেরঠ থেকে পবন জল্লাদকে তলব করা হয়েছে।
➡ আপাতত ঠিক হয়েছে, ফাঁসি পিছু 15 হাজার টাকা পাবেন পবন জল্লাদ। মোট পাবেন 60 হাজার টাকা৷































































































































