CAA বিরোধী প্রতিবাদের নামে দিনের পর দিন জনজীবন বিপর্যস্ত করে মিছিল বা রাস্তা আটকে ধরনা চালানোই যে যথেষ্ট নয়, কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তা বুঝিয়ে দিল বামশাসিত কেরালা। CAA বাতিলের দাবিতে কেরালা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানানো হয়েছে। এর আগে কেরালা বিধানসভাতেও প্রস্তাব পাশ হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী জনমত গঠনে রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার, সেই কৌশল একধাক্কায় পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা সহ বাকি আন্দোলনকারী রাজ্যকে। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি, দল বা সংগঠন এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেও দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসাবে CAA বাতিলের মামলা করে নজির গড়ল কেরালা।
ঘটনা হল, একাধিক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিজেদের রাজ্য তাঁরা নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে দেবেন না। রাজনৈতিক বক্তব্য হিসাবে CAA বিরোধী জনমত তৈরিতে এইসব কথার গুরুত্ব থাকলেও সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইন আটকানোর সাংবিধানিক এক্তিয়ারই কারুর নেই। একমাত্র সর্বোচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপেই তা সম্ভব। ফলে রাজনৈতিক আন্দোলনে আইন রুখে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভোটব্যাঙ্কের সুবিধা হলেও সাংবিধানিক কাঠামোয় তা কখনই সম্ভব নয় যদি না আদালতের নির্দেশ থাকে। তাই ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে আইন বাতিলের দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে CAA বিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বাস্তবমুখী ও আইনসম্মত রাস্তাটাই বেছেছে কেরালা সরকার।





























































































































