দেহদানের আগে আবেগে, শ্রদ্ধায় শেষ প্রণাম অভীক দত্তকে

0
5

গণশক্তির অকালপ্রয়াত প্রাক্তন সম্পাদক অভীক দত্তকে শেষ প্রণাম জানালেন সিপিআইএম কর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও সাংবাদিককূল। তারপর এসএসকেএম হাসপাতালে মরণোত্তর দেহদান।

এদিন সকালে অভীক দত্তর প্রয়াণের পর মরদেহ হাসপাতাল থেকে যায় তাঁর বাড়িতে। সেখান থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে পার্টির সদর দপ্তরে। রাজ্য কমিটির নির্ধারিত বৈঠক কিছুক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া হয়। লাল পতাকায় ঢাকা মরদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঘনিষ্ঠরা। সারাক্ষণ শ্লোগান দেন কণীনিকা ঘোষ। শ্রদ্ধা জানান সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, অশোক ভট্টাচার্য, অসীম দাশগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তীসহ নেতারা। ছিলেন প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের স্ত্রী। মালা দিয়ে প্রণাম করেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। ছিলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। এরপর মরদেহ আনা হয় “গণশক্তি” ভবনে। সেখানেও যান নেতারা। আসেন গৌতম দেব। বিভিন্ন সংস্থার বহু সাংবাদিক শ্রদ্ধা জানান। পার্টির ছাত্র, যুব নেতারা ছিলেন। ছিলেন দেবেশ দাস, অঞ্জন বেরা, ভারতী মুৎসুদ্দি, ফৈয়জ আমেদ খানসহ অনেকে। গণশক্তির দেবাশিস চক্রবর্তী, অতনু সাহাসহ গোটা টিম তখন সেখানে। সূর্যবাবু বলেন,” অপূরণীয় ক্ষতি হল।”

মাত্র ৫৮ বছর বয়সে অভীকের চিরবিদায় মানতে পারছিলেন না কেউই। তাঁর স্ত্রী, পুত্রকে গভীর সমবেদনা জানান সবাই। চারপাশের জটলায় তখন টুকরো টুকরো স্মৃতিচারণ। এরপর কলকাতা প্রেস ক্লাব হয়ে মরদেহ যায় পিজি হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ছাত্রদের কাজের জন্য দান করা হয় দেহ।

আরও পড়ুন-অভীক দত্ত প্রয়াত, কুণাল ঘোষের কলম