দেশের সংবিধান কি এমন কোনও বই, যা দেশের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা অপব্যবহারের সুযোগ দেয়! দেশের সংবিধান কি কিছু নাগরিককে অন্য নাগরিকদের অবমাননা করার অধিকার দেয়? ভারতীয় সংবিধান কি শুধু কালি দিয়ে লেখা কিছু শব্দ? নাকি বহু শহিদের রক্তে লেখা ধর্ম-বর্ণ-আঞ্চলিকতা-ভাষার ঊর্ধ্বে ওঠার নিশানা একটি বই!!
শাসক দলের দিকে তাক করে জনগণের উদ্দেশে লেখা চিঠি। লিখেছেন শর্মিলা ঠাকুর, প্রাক্তন বিচারপতি জে চেলমেশ্বর ও প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সহ আট বিশিষ্টজন। খোলা চিঠি দেশের জনগণের কাছে।
চিঠির শীর্ষক ” সেভেন্টি ইয়ার্স অফ ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন, আ ডিফাইনিং মোমেন্ট।” বিশিষ্টজনেরা লিখেছেন, সংবিধানের ৭০পূর্তি অবশ্যই আমরা উদযাপন করব, তার পাশাপাশি এতদিন ধরে যে ভুলভ্রান্তি হয়েছে, সেটাও শুধরে নেব। দেশের মানুষের কাছে তাঁদের অনুরোধ, সাফল্যের পাশাপাশি সংবিধানের মূল ভাবনা বহুত্ববাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখা। আম্বেদকর এবং আমাদের পূর্বপুরুষ সংবিধানে যা লিখে গিয়েছেন তা যেন পূরণ হয়। দেশজুড়ে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত। চিঠির লক্ষ্য যে সেদিকেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি, প্রাক্তন বিচারপতির জে চেলামেশ্বর, প্রাক্তন সেনা কর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরচরণ সিং পানাগ, চলচ্চিত্র পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণন, কর্ণাটকের বাদ্য শিল্পী টিএম কৃষ্ণ, ইউজিসি ও আইসিএসএসআর-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুখদেও থোরাট, পরিকল্পনা আয়োগের প্রাক্তন সদস্য সাঈদা হামিদ ও শর্মিলা ঠাকুর।