এ যুগের দেবদাস মরে না, আলোয় ফেরে চন্দ্রমুখীরা

0
8

‘দেবদাস’- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এই উপন্যাস চিরকালই পরিচালকদের পছন্দের। সায়গলের সময় থেকে শাহরুখ খান- বারবার রুপোলি পর্দায় এসেছেন দেবদাস মুখোপাধ্যায়। এবার বাংলা নাট্যমঞ্চেও হাজির তিনি। তবে, একেবারে এই সময়ের প্রেক্ষিতে। সেদিক দিয়ে দমদম ব্রাত্যজনের ‘দেবদাস’ অনেকটা ‘ডেভ ডি’-র আঙ্গিকে উপস্থাপিত হয়েছে মঞ্চে। এমনটাই জানালেন নাটকের পরিচালক প্রান্তিক চৌধুরী। রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্যব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু এই নাটকের মুখ্য কারিগর। তাঁর তুলির টানেই শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’-এ এসেছে অপেরা বা যাত্রার শৈলী। তবে, এ যুগের দেবদাসরা মরে না। তারা অফুরান প্রাণশক্তিতে বেঁচে থাকে। বাঁচিয়ে রাখে তাদের ভালবাসাকে। আর অন্ধকারে পড়ে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে না চন্দ্রমুখী। আপন ভাগ্য জয় করে ফ্ল্যাট কিনে উঠে যায় ১২ তলায়। যেখান থেকে প্রেমিক দেবদাসের হাতে হাত রেখে আকাশ দেখে সে।
দমদম ব্রাত্যজনের ‘দেবদাস’-এ কথকের ভূমিকায় রয়েছেন ঘটক। আর নাটকের মুড বেঁধে দিয়েছে দুই গায়ক-গায়িকা। একের পর এক গান মঞ্চে লাইভ পরিবেশন করেছেন তাঁরা। সঙ্গে নাচ। আর জনপ্রিয় হিন্দি বা বাংলা গানগুলিকেই ভাষা পালটে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আইডিয়াও ব্রাত্য বসুর বলে জানান প্রান্তিক। তাঁর পরিকল্পনাতেই অভিনব মোড়কে মঞ্চে উপস্থাপিত হচ্ছে এযুগের ‘দেবদাস’। এই ধরনের নাটকের মাধ্যমে বাঙালীকে আবার মঞ্চমুখী করা যাবে বলে আশাবাদী নাটকের প্রয়োজন তথা অভিনেতা প্রদীপ মজুমদার।

আরও পড়ুন-সৌজন্যে মোদি, অহি-নকুল পাশাপাশি, সামান্য মস্করাও