একদিকে মেলার জন্য যেমন সেজে উঠেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার গঙ্গাসাগর, সেজে উঠেছে কপিলমুনির আশ্রম। প্রশাসনিক পর্যায়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখে এসেছেন।
ঠিক একইভাবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধু-সন্ত এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য সেজে উঠেছে কলকাতার বাবুঘাট চত্বর।
ফি বছরের মতো এবারও লাখো লাখো তীর্থযাত্রী ভিড় জমিয়েছেন বাবুঘাটে। ভিড় করেছেন সাধু-সন্তরা। এসেছেন নাগা সন্ন্যাসীরাও।
উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র-এর পাশাপাশি নেপাল, মরিশাস থেকেও এসেছেন তীর্থযাত্রীরা। এদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবছর আসেন। আবার কেউ কেউ এই প্রথমবারের জন্য এসেছেন পুণ্যস্নানে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বাবুঘাটে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এবার মেলায় ১১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনা বীমার ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
এখানেই শেষ নয়, এবার গঙ্গাসাগরে যেতে হলে আর কোনও কর দিতে হবে না তীর্থযাত্রীদের। এমনটাও ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পরিষেবা, বীমা, কর ছাড়, ব্যবস্থাপনা দেখে আপ্লুত তীর্থযাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা। সকলেই বলছেন, “মমতা দিদির নাম শুনেছি। খবরের কাগজ, টিভিতে ছবি দেখেছি। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কলকাতায় না এলে বুঝতেই পারতাম না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা মানবিক। আমরা কুম্ভ মেলাতেও এমন সুন্দর পরিষেবা পাইনি, যেটা কলকাতায় এসে দেখলাম গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এই রাজ্যের সরকার করেছে। মমতা দিদিকে ধন্যবাদ।”