২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বিশেষ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা ঘোষণা করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্যের কর্মসংস্কৃতি। অর্থাৎ, কথায় কথায় বনধ-ধর্মঘট নয়, বিশেষ করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি কড়া নির্দেশ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেই বিরোধী দলগুলি বনধ কিংবা ধর্মঘট পালন করলেই, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য প্রশাসন।
ফলে তৃণমূল সরকারের আমলে সব বনধ এই রাজ্যে বিফল হয়েছে। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সার্কুলেশন জারি করে জানানো হয়, বিশেষ কয়েকটি কারণ ছাড়া বনধের দিন কেউ অফিসে না এলে তাঁর বেতন কাটা যাবে শুধু তাই নয়, শোকজ করা হবে। এমনকি সার্ভিস বুকে দাগও পড়তে পারে।
বুধবারও বাম-সহ অন্যান্য দলগুলির সারা ভারত ধর্মঘটে কোনও প্রভাবই পরল না রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নে। অন্যান্য কাজের দিনের মতো এদিনও সকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে নবান্নের বিভিন্ন দপ্তরে। কর্মীরাও সময়মতো দপ্তর এসেছেন এবং কাজে যোগ দিয়েছেন।
এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, মুখ্যমন্ত্রী এই ধর্মঘটের ইস্যুগুলোকে সমর্থন করলেও, রাজ্যের প্রশাসনিক তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কর্মসংস্কৃতির সঙ্গে কোনও আপস নয়, তাই এ রাজ্যেও বনধের সংস্কৃতিও আর নয়। এদিন নবান্নের চিত্রটা যেন সেটাই জানান দিচ্ছে।