পুলিশকে আরও সংযত থাকার বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর

0
4

জেএনইউ কাণ্ড নিয়ে সারা দেশের পাশাপাশি এশহরেও পড়ুয়ারা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এই ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরে পথে নেমেছেন। পড়ুয়া, সিপিএম ও বিজেপি-তিন মিছিল ঘিরে সোমবারই ধুন্ধুমার হয়ে উঠেছিল যাদবপুরের সুলেখা মোড়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া আহত হন বলেও অভিযোগ।মঙ্গলবার ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে পুলিশকে আরও সংযত থাকার বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে পুলিশও ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ঢুকুক এটা সরকার চায় না। তিনি বলেন, গতকালই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। পুলিশকে অনেক বেশি সংযত থাকতে হবে। এখনও ধৈর্য আছে, কিন্তু এরকম চললে ভেবে দেখতে হবে। পুলিশ যেভাবে শান্ত থাকতে বলেছেন তা কোথাও দেখিনি । গতকাল যা হয়েছে তা সমর্থনযোগ্য নয়। পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি হস্তক্ষেপ ঠিক নয়। পুলিশকে সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সিপি।
এরই পাশাপাশি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় একাধিকবার যে সুরে কথা বলেছেন তাতে শাসকদলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়ে বই কমেনি। বৃহস্পতিবার বামেরা এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী ধর্মঘট ডেকেছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বনধকে সমর্থন করি না।তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক নেতা নন।বরং প্রশ্ন তোলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোথাও কেউ গ্রেফতার হয়েছে । রাজ্যপাল এরকম করলে সুসম্পর্ক থাকবে না ।