রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের নতুন দরজা খুলতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরল ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, এ দু’রাজ্যে NPR হবেনা৷ এবার কেন্দ্রের এই দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুন এক সংঘাতের আশঙ্কা দৃঢ় হচ্ছে৷
সেন্সাস এবং NPR অনুশীলন পরিচালনা করার দায়িত্ব রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সংস্থার কর্মীদের উপর।
সরকারি কোনও কর্মী NPR-এর কোনও দায়িত্ব সম্পাদন করতে অস্বীকার করলে বিধি অনুসারে তাঁর ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে। একইভাবে সেন্সাস পরিচালনায় সরকারি কোনও কর্মী সহযোগিতা না করলে বা অস্বীকার করলে তাঁর ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হবে৷
কেন্দ্রের তরফে এ কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণনা ও নাগরিকত্ব বিধি, ২০০৩ অনুসারে সরকারি কর্মীদের এই দুই কাজে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকরণ বা NPR প্রস্তুত এবং সেন্সাস বা আদমশুমারি তৈরির জন্য তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বও সরকারি কর্মীদেরই। বলা হয়েছে, NPR-এর তথ্য এবং সেন্সাসের কাজের জন্য যাবতীয় পরিসংখ্যান দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি কর্মীদেরই সংগ্রহ করতে হবে।
ভারতীয় আইন ও নাগরিকত্ব বিধি অনুযায়ী, আদমশুমারি এবং NPR অনুশীলন পরিচালনা করা সরকারি কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্র। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, সেন্সাস কমিশনার এবং সিটিজেন রেজিস্ট্রেশনের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে সহায়তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের৷
ভারতের আদমশুমারির নিয়মে বলা আছে, রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত এলাকার প্রশাসনকে জনগণনা করার জন্য সরকারি কর্মী বা অফিসারদেরই নিয়োগ করতে হবে। বলা হয়েছে, প্রধান আদমসুমারি অফিসার হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক৷ রাজ্য সরকারের পদস্থ অফিসারদের মধ্য থেকেই জেলা ও উপ-জেলা আদমসুমারি আধিকারিক, তত্ত্বাবধায়কে নিয়োগ করতে হবে৷ কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, আদমশুমারির আইনের ১১ ধারায় সরকার বা অন্য কোনও লোকাল বডি’র কর্মচারী আদমশুমারি পরিচালনায় সহায়তা অস্বীকার করলে তাঁর জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং অথবা জরিমানার শাস্তি হবে৷ একই ভাবে NPR-এর কোনো দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করলে নাগরিকত্ব বিধি অনুসারে তাদেরও শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত আদমশুমারির ২০২১ সালের হাউস লিস্টিংয়ের পাশাপাশি NPR পরিচালিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই দুই কাজেই শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।