কলকাতা বা বৃহত্তর কলকাতায় কাজের মাসি বা কাজের দিদির সংখ্যা কত? আনুমানিক হিসাব লক্ষাধিক বা তারও বেশি৷ রাজ্যে এদের সঠিক সংখ্যার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য বা পরিসংখ্যানই নেই। এই বিপুলসংখ্যক ‘শ্রমিক’-রা যেহেতু অসংগঠিত, তাই এরা সরকারিভাবে ‘শ্রমিক’-এর মর্যাদাও পান না৷ নেই সাপ্তাহিক ছুটি, অসুস্থতার জন্য ছুটি নেই। এবার এই অ-সংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন ‘সিটু’।বৃহস্পতিবার প্রথম সভা করে আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করেছে সিটু অনুমোদিত গৃহ পরিচারক পরিচারিকাদের সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ গৃহ সহায়িকা সংগঠন’। এ ধরনের ইউনিয়ন গঠন করার কারণ হিসাবে সিটু নেতাদের ব্যাখ্যা, ‘অসংখ্য পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই ধরনের পরিচারক, পরিচারিকারা। অথচ এনারা ন্যূনতম সম্মানও পান না। এঁদের মৌলিক কিছু দাবি নিয়ে লড়াই করার জন্যই এই সংগঠন৷
যাদের জন্য এই ইউনিয়ন, সেই গৃহ-পরিচারিকাদের বক্তব্য, “সব কাজেই সপ্তাহে একদিন ছুটি মেলে, কিন্তু আমরা যারা বাড়ি বাড়ি কাজ করি, তাদের কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। নির্দিষ্ট বেতনহার নেই। আমাদের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিক রাজ্য। ষাট বছর বয়স হলে সরকার পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।’ সিটু এ ধরনের সংগঠন এই প্রথম দাবি করলেও কাজের মাসি ও কাজের দিদিদের নিয়ে রাজ্যে প্রথম সংগঠন গড়ে তুলেছিল SUCI (C)-ই৷ তাদের সংগঠন “সারা বাংলা পরিচারিকা সমিতি” এখন রাজ্যের বৃহত্তম সংগঠন বলে SUCI-র দাবি। রাজ্য জুড়ে তাদের ৩০ হাজার সদস্য আছে বলে দাবিও করে এই সমিতি।






























































































































