একটু হিসেব করে চলুন, ২০২০ আপনাকে দেবে অসংখ্য ছোট-বড় ছুটির ধামাকা

0
5

ছুটি ব্যাপারটা বাঙালির মজ্জায়। সুযোগ পেলেই ছোট্ট ট্যুর। ২০২০ কিন্তু বারেবারেই আপনাকে এই সুযোগ দেবে। কীভাবে? আসুন একবার চোখ বুলিয়ে নিই।

প্রথমেই জানাই ১২জানুয়ারি স্বামীজির জন্মদিন এবং ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। কিন্তু দু’দিনই রবিবার। কিন্তু নেতাজির জন্মদিন ২৩জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। শুক্রবার দিনটা ছুটি নিলেই টানা চারদিনের উইক এন্ড।

সরস্বতী পুজো ৩০জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। এখানেও শুক্রবার ছুটি নিলেই চারদিনের অখণ্ড অবসর।

৯মার্চ, সোমবার দোলযাত্রা। ৭-৮ শনি-রবি। টানা তিনদিনের ছুটির হাতছানি। ১০এপ্রিল গুড ফ্রাইডে, শুক্রবার। শনি-রবি ১১-১২এপ্রিল। এখানেও টানা তিনদিনের ছুটির হাতছানি। আবার ১৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার বাংলা নববর্ষ এবং আম্বেদকরের জন্মদিন। ১৩এপ্রিল, সোমবার ছুটি নিলেই টানা পাঁচ দিনের ছুটি।

১মে, মে দিবস, শুক্রবার। ফের তিনদিনের ছুটির সুযোগ। বুদ্ধপূর্ণিমা ৭মে, বৃহস্পতিবার। ৮মে রবীন্দ্রজয়ন্তী। ৯-১০ মে শনি-রবি। ফের ছুটির চার দিন। ২৫মে, সোমবার, ঈদউলফিতর। তিন দিনের ছুটির হাতছানি। বকরি ঈদ এবার ১অগাস্ট শনিবার, আবার ১৫ অগাস্টও শনিবার। যাঁরা শনিবার পূর্ণদিবস ছুটি পান, তাঁদের ভাঁড়ার থেকে দুটি ছুটি কমে গেল।

২০২০ সালের মহালয়া ১৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার। অর্থাৎ শুক্রবার ছুটি নিলেই চারদিনের টানা ছুটি। ২ অক্টোবর, শুক্রবার, গান্ধীজয়ন্তী। এখানেও টানা তিনদিনের ছুটি আপনার হাতে। মহালয়া-পুজোয় এক মাস ফারাক। ২২অক্টোবর ষষ্ঠী। সোমবার দশমি। ষষ্ঠীর দিন ছুটি নিলেই পাঁচদিনের ছুটি। লক্ষ্মীপুজো ৩০অক্টোবর, শুক্রবার। সুযোগ তিন দিনের ছুটির। কালীপুজো ১৪ নভেম্বর, শনিবার। ফলে এখানে ছুটি মাঠে মারা গিয়েছে!

৩০ নভেম্বর, শুক্রবার, গুরু নানকের জন্মদিন। শনিবার- রবিবার ছুটি নিলে আবার তিনদিনের অবকাশ যাপন। বছরের শেষেও ছুটির ফাঁদ। ২৫ডিসেম্বর বড়দিন, শুক্রবার। ফলে ছুটির হাতছানি বছরের শেষদিন পর্যন্ত থাকছেই।