‘রাজনীতিতে এসেছেন নিজের সংস্থা চালাতে’, নাম না করে প্রশান্ত কিশোরকে বিজেপি’র তোপ

0
4

“এক ব্যক্তি যিনি নিজে এক ব্যবসা চালান লাভ করার লক্ষ্যে, তিনি নিজের পেশার জন্য একটি বাজার তৈরি করতে চাইছেন। দেশের কল্যাণের বিষয়ে পরে ভাববেন।”
জনতা দল ইউনাইটেড বা JDU-র জাতীয় সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিহারের বিজেপি নেতা
সুশীল মোদি৷

২০২০ সালের অক্টোবরে অর্থাৎ  শেষভাগেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। সম্প্রতি আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল, JDU- র জন্য সিংহভাগ আসন সমঝোতা করতে চেয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। ঠিক এই প্রসঙ্গে তাঁকে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, এই ধরনের ক্ষতিকর মন্তব্যের ফলে NDA-র সমস্যা হচ্ছে। বিজেপি নেতা সুশীল মোদি অবশ্য প্রশান্ত কিশোরের নাম উল্লেখ করেননি। লোকসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি ও JDU সমসংখ্যক আসন ভাগাভাগি করেছিলো। বিধানসভা নির্বাচনেও তেমনটাই চাইছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু নির্বাচন কৌশলী তথা JDU-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের দাবি, আগের নির্বাচনের ফলাফল দেখে সেই অনুযায়ী, JDU-কে বেশি আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হোক।

এদিকে বিজেপি নেতা সুশীল মোদি টুইট করে বলেছেন, ‘‘২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে লড়াই হবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ নেতৃত্বে। সময় এলে আসন বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দু’দলের নেতারি৷ এই বিষয়ে কোনও সমস্যাই নেই। কিন্তু যে ব্যক্তি আদর্শের কারণে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, রাজনীতিতে এসেছেন এক সংস্থা চালাতে, যারা নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহ করে ও স্লোগান ঠিক করে, তারা এই ধরনের মন্তব্য করে NDA জোটের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে।”

প্রসঙ্গত,গত ২০১৪ সালে বিজেপি ও প্রশান্ত কিশোরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সম্প্রতি CAA বিরোধিতা করে মন্তব্যও করেছেন পিকে। নীতীশ কুমারের নির্দেশে দল সংসদে ওই আইনকে সমর্থন করলে তার বিরোধিতা করে প্রশান্ত কিশোর জানান, সরকারের প্রস্তাবিত NRC-র মতো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাঁদের দলের প্রতিবাদ করা উচিত। এবার নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে তাঁর সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের সংঘাত প্রকট হল।
শুধু সুশীল মোদিই নন, JDU- সাংসদ আরসিপি সিংহও প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ করেন। তিনিও পিকে-র নাম না করে বলেন, “প্রচারের আলোয় থাকার জন্যই কেউ কেউ এমন মন্তব্য করছেন”৷

আরও পড়ুন-নতুন বছরে সুখবর! কমছে ঋণের সুদের হার কমাচ্ছে এসবিআই