ভারত থেকে চোরা পথে বাংলাদেশে ঢুকতে যাওয়ায় ৩০০ জন অনুপ্রবেশকারীকে আটক করার কথা স্বীকার করল বিজিবি। সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে ভারতে এসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের প্রতিনিধি দল। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিজি পর্যায়ের বৈঠক শেষে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজিবি-র ডিজি শাফিনুল ইসলাম। সেখানে তিনি জানান, এদেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে ৩০০ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিএএ বা এনআরসি নিয়ে সীমান্তে কোনও সমস্যা হয়নি। তবে তাঁর অভি্যোগ, গত একবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে। সীমান্ত থেকে যে ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে, তাঁদের বাংলাদেশের নাগরিকত্বের কোনও কাগজ না থাকলেও পাওয়া তথ্য মিলিয়ে জানা গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই সেই দেশের নাগরিক। বেড়াতে বা কাজের সন্ধানে ভারতে এসে বসবাস করছিলেন। কিন্তু ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি তাঁদের কাছে ছিল না বলে জানান শাফিনুল ইসলাম।
সিএএ বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা দেশ ছাড়ছে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল। বিজিবি-র ডিজির বক্তব্যে সেই কথাতেই সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছেন অনেকে। কারও কারও মতে, অসমে এনআরসি হওয়ার পর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সিএএ-র পর সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।




























































































































