যোগী আদিত্যনাথের রাজরোষে উত্তরপ্রদেশ সিপিএম। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নেমে প্রতিবাদ। আর তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীর প্রায় পুরো সিপিএম জেলা কমিটিকেই জেলে ভরে দিয়েছে পুলিশ। সংখ্যা ৬৯। যারা গ্রেফতার হননি, তাদের বাড়ি বাড়ি নোটিশ যাচ্ছে। জানতে চাওয়া হচ্ছে, দেশের আইনের বিরুদ্ধে পথে নামায় কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না!
আসলে মুখ্যমন্ত্রীর রোষ অন্য জায়গায়। উত্তরপ্রদেশে সিপিএম সেভাবে শক্তিশালী না হলেও বামেরা প্রচারপত্র, ছোট ছোট পথসভা আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে নাগরিকত্ব আইনের কেন বিরোধিতা, তা বোঝানো শুরু করেছেন। যাতে জনমত তৈরি হচ্ছে। মিছিলে, সভায় লোক বাড়ছে। প্রাক্তন সাংসদ সুভাষিণী আলি পথে নেমেছেন এই বয়সেও। তিনি বলছেন, যোগী সরকার কোনও বিরোধিতা শুনতে রাজি নয়। যেখানেই বামেরা যৌথভাবে সভা, মিছিল করছে, সেখানে গিয়ে পুলিশি হামলা চলছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। জামিনের জন্য আইনজীবীর সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকারি দমন পীড়নের প্রতিবাদে সিপিএম, সিপিআই, ফব, আরএসপি, সিপিএমএল লিবারেশন উত্তরপ্রদেশ, অসম, কর্নাটক, ত্রিপুরা, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে ১-৭ জানুয়ারি রাস্তায় নামছে। কিন্তু লাল ঝান্ডার মিছিলে মানুষ ভিড় করলেও ব্যালটে তার ছাপ পড়ে না কেন, সেটাই বড় প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।