‘বর্ষসেরা মিথ্যেবাদী’ রাহুল গান্ধী, কেন বলল বিজেপি?

0
4

২০১৯ সালের সেরা মিথ্যেবাদী বলে যদি কোনও ক্যাটাগরি থাকে, তবে তাতে নাম উঠবে রাহুল গান্ধীর। এনপিআর নিয়ে তিনি যা বলেছেন, তাতে তিনি একইসঙ্গে নিজের পরিবার ও দল উভয়কেই বিপদে ফেলেছেন। অনর্গল উল্টোপাল্টা মিথ্যে বলায় রাহুলের জুড়ি মেলা ভার। এখন তিনি জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি বা এনপিআর নিয়ে মিথ্যে বলে কংগ্রেসকেও বিপদে ফেলেছেন। তাই রাহুল গান্ধীই দেশের বর্ষসেরা মিথ্যেবাদী।

এনপিআর নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ব্যাখ্যা শুনে তাঁকে ‘লায়ার অফ দ্য ইয়ার’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাওড়েকর। ছত্তিশগড়ের এক কর্মসূচিতে গিয়ে রাহুল বলেন, এনপিআর ও এনআরসি হল গরিবদের উপর ট্যাক্স বা কর বসানোর চাল। নোটবন্দির সময় যেমন গরিবদের উপর কর বসেছিল, এবার এনপিআরেও তাই হবে। গরিব মানুষকে নাম তোলার জন্য বা কোনও নথির ভুল সংশোধনের জন্য সরকারি অফিসারদের ঘুষ দিতে হবে। আর এভাবে গরিবের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে মোদি সরকার দেশের পনেরোটি পরিবারের হাতে তুলে দেবে।

এনপিআর নিয়ে রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যকে অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অপপ্রচার বলে তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাওড়েকর বলেন, রাহুল যখন কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন তখনও রোজ মিথ্যে বলতেন, এখন সভাপতি না থেকেও মিথ্যে বলে চলেছেন। কংগ্রেস দলকেও বিপদে ফেলছেন তিনি। ২০১০ সালে কংগ্রেস জমানাতেও এনপিআর হয়েছিল। এর মধ্যে কাউকে কোনও নথি দিতে হয় না। এনপিআরের মাধ্যমে দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়, যাতে সরকার গরিবদের কাছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও কল্যাণমূলক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে পারে।