লক্ষ্য যে আসলে হিন্দুরাষ্ট্র তৈরি, তা কার্যত খুল্লামখুল্লা ফাঁস করে দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। আর সে নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন করে বিতর্ক।
মঙ্গলবার গুজরাতের সবরমতী আশ্রমের বাইরে একটি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বললেন, আফগানিস্তানে এক সময়ে হিন্দু আর শিখ মিলিয়ে জনসংখ্যা ছিল দু’লক্ষ। এখন তা এসে ঠেকেছে ৫০০তে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় পাকিস্তানে ছিল ২২শতাংশ হিন্দু। তারপর নানা অত্যাচারে তা ৩ শতাংশে নেমে আসে। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে হিন্দুর সংখ্যা ২ শতাংশ। মুসলিমরা ১৫০টি দেশের যেকোনও জায়গায় যেতে পারে। কিন্তু হিন্দুদের জন্য রয়েছে শুধুমাত্র ভারত। তাহলে যদি হিন্দুরা শুধু এ দেশে আসতে চান, এবং তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে অসুবিধা কোথায়! গেরুয়া দুর্গ গুজরাতে বিগত কয়েকদিনে ৩৩টি জেলায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী সভা এবং মিছিল শুরু হয়েছে। সেই আঁচ যে সরকারের গায়ে ভালোমতোই লেগেছে তা এই বক্তব্যে প্রমাণিত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ফাঁকে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোই যে আসল উদ্দেশ্য, তা গুজরাতের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির কথাতেই স্পষ্ট।































































































































