দেশের চালচিত্রে ক্রমশই ফিকে হচ্ছে গেরুয়া রং ৷
বিজেপির স্বঘোষিত ‘টিম-চাণক্য’ মুখে আর একদফা চুনকালি। ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফল বলছে গোটা ভারতে মোদি-শাহের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই কমছে৷ মহারাষ্ট্রের ঘা এখনও শুকোয়নি৷ তার উপর চেপে বসলো ঝাড়খণ্ড। কোনও ভোট পরবর্তী সমীকরণে নয়,ঝাড়খণ্ডে সরাসরি ভোটেই হেরে গেলো বিজেপি৷ তাই এই ধাক্কা আরও বড়৷ ঝাড়খণ্ডে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল-এর জোট। ফের দেশের একটি রাজ্য ফিরিয়ে দিলো বিজেপিকে৷
গেরুয়া রং আবছা হতে শুরু করেছিলো রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় থেকে। এবছরে হাতছাড়া হল মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড। ওডিশায় তো ছাপ ফেলতেই ব্যর্থ মোদি৷ মহারাষ্ট্রে মোদি-শাহকে বোকা বানিয়েছিলো শরিক শিবসেনাই। কংগ্রেস–NCP-র হাত ধরে ওই রাজ্যে সরকার গড়েছে শিবসেনা। এর মধ্যে একমাত্র লাভ কর্নাটক৷ কর্নাটকে দেদার ‘ঘোড়া’ কিনে সরকার রেখেছে বিজেপি।
ঝাড়খণ্ডের ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, 2018 সালের মার্চ মাসে 19 রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। আর ঠিক তার পরের বছরের ডিসেম্বর মাসে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে 13–তে। দেশের বড় রাজ্য বলতে বিজেপির এখন হাতে আছে শুধুই উত্তরপ্রদেশ৷ 2014-সালে কেন্দ্রে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে নরেন্দ্র মোদি ডাক দিয়েছিলেন ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারতে’র । সেই ডাক একের পর এক রাজ্যের নির্বাচনে ধাক্কা খাচ্ছে৷ মোদি–শাহ নেতৃত্বাধীন বিজেপিতে ভরসা রাখতে পারছেনা মানুষ৷ ঝাড়খণ্ডের ফল বেরোনোর পর দেশের নতুন ভাবনা, বিজেপি কি এখন স্লগ- ওভারে ব্যাট করছে ?































































































































