“সংবিধান অনুসারে হিন্দি আমাদের ভাষা”, ফের তুমুল বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যপাল

0
4

রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত চলছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কখনও যাদবপুর নিয়ে, কখনও বিধানসভা পরিদর্শন নিয়ে, কখনও অন্য কোনও ইস্যুতে শাসক দল বা মুখ্যমন্ত্রী অথবা রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদ- বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিতর্ক সৃষ্টি করেই তিনি কার্যত প্রচারের আলোয়৷

আর এবার সরাসরি হিন্দি ভাষা নিয়েই সওয়ালে নেমে পড়লেন রাজ্যপাল। এই সওয়ালের কারন হিসাবে তিনি উল্লেখ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ট্যুইটের প্রসঙ্গ।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে দিনকয়েক আগে একটি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার জন্য রাজ্যপাল
ডেকে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী যদিও সেই ডাকে যাননি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা সেই চিঠিটি রাজ্যপালের লেটারহেডেই লেখা ছিলো। আর সেই লেটারহেডে রাজ্যপালের পরিচয় লিখতে যে দুটি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তার একটি ইংরেজি এবং অপরটি হিন্দি। সেই চিঠি এবং লেটারহেড নিয়ে সেদিনই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ট্যুইটে লেখেন, “আপনি পশ্চিমবঙ্গের সম্মানীয় রাজ্যপাল। কিন্তু আপনার লেটারহেডে হিন্দি বা ইংরেজির স্থান থাকলেও বাংলার কোনও জায়গাই নেই। যদি আপনার সাহায্যে লাগে, তাই বাংলায় অনুবাদ করে দিলাম। রাজ্যপাল, পশ্চিমবঙ্গ।’

ফেঁসেছেন বুঝে তড়িঘড়ি অভিষেকের ট্যুইটের উত্তরে সেদিনই রাজ্যপাল ধনখড় লেখেন, “খুব ভালো পরামর্শ। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি শুধরে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রণের মতো নানা ক্ষেত্রে এই বিষয়টি শুধরে নেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।”

রবিবার বনহুগলিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখান তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর তখনই রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে হিন্দিভাষার পক্ষেই সওয়াল করে বলেন, “সংবিধানে বলা হয়েছে হিন্দিই আমাদের ভাষা। তাই ইংরেজির পাশপাশি হিন্দিতেও কথা বলার জন্য নিরন্তন প্রয়াস চালানো উচিত। সংবিধান অনুযায়ী হিন্দি আমাদের ভাষা।”

আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক, নতুন সংঘাত৷ বিজেপি সারা দেশের ওপর জোর করে হিন্দি চাপাতে চাইছে বলে গুরুতর অভিযোগ আছেই৷ সেখানে হিন্দি নিয়ে রবিবার রাজ্যপাল এভাবে সওয়াল করায় এই বিতর্ক আরও জোরদারই হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা ৷