একসময় নাম ছিল মিছিল নগরী। বহুদিন পর সেই ছবিটাই উঠে এলো কলকাতার বুকে। বৃহস্পতিবার, মিছিলে মিছিলে ছয়লাপ মহানগর। কিন্তু এক অদ্ভুত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। একই দিনে কলকাতার বুকে কার্যত চারটি মিছিল বের হয়। একটি অরাজনৈতিক মিছিল, ছিলেন বুদ্ধিজীবী সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অন্য তিনটে মিছিল ছিল তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেসের। তার মধ্যে তৃণমূলের ঘোষিত মিছিল নয়, বরং নেত্রীর ডাকে সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের ছাত্র-যুব, কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, ঘোষিত কর্মসূচি ছিল বাম এবং কংগ্রেসের। মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে মিছিল করে তারা। কিন্তু কোনও মিছিল থেকেই কোন উত্তেজনা ছড়ায়নি। নানা ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ মিছিলে পা মেলান। হাতে ছিল এনআরসি-সিএএ বিরোধী প্ল্যাকার্ড। কখনও স্লোগান দিয়ে, কখনও গান গেয়ে বিরোধিতায় সামিল হন প্রতিবাদীরা। মিছিলে হাতে পতাকার পাশাপাশি গালে লেখা ছিল, “নো এনআরসি, নো সিএএ”।
কিন্তু কোথাও এতটুকু শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়নি। গণতান্ত্রিক উপায়, সংগঠিত ভাবে এগিয়েছে মিছিল। যেখানে মিছিল বাধা পেয়েছে সেখানেও কোনও উত্তেজনা ছড়ায়নি। প্রতিবাদীদের বাধাও নয়, কার্যত অনুরোধ করে পুলিশ। আর সেই নির্দেশ মেনে সেখানেই থেমে যান আন্দোলনকারীরা।
একদিকে যখন সিএএর বিরোধিতায় রণক্ষেত্র লখনউ। একের পর এক জ্বলেছে পুলিশ চৌকি, গাড়ি, বাইক- তখন এক শান্তিপূর্ণ মিছিলের দিন দেখল কলকাতা। যেখানে সংগঠিত প্রতিবাদের আওয়াজ উঠল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোথাও এতটুকু তাল কাটল না।
আরও পড়ুন-এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনে গণভোট চাইলেন মমতা! হারলে ইস্তফা দিক বিজেপি সরকার






























































































































