একই ছবি ধরা পড়ল পর পর দুদিন। একদিকে শান্তির মিছিল, অন্যদিকে মিছিল ঘিরে অশান্তি। মঙ্গলবার, শান্তিপূর্ণভাবে যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবানীপুর যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী। অন্যদিকে, এনআরসি ও সিএএ-র সমর্থনে বিজেপি মিছিল ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। এদিন জোড়া মিছিল হয়। একটি হাওড়ার কদমতলা থেকে ময়দান পর্যন্ত। অন্যটি বেহালার ঠাকুরপুকুরে। অনুমতি না থাকায় মাঝপথে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
কদমতলার মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল যাওয়ার কথা ছিল হাওড়ায় ময়দান পর্যন্ত। কিন্তু মাঝপথেই বাধা দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়েন রাজু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন একটি মিছিলের যখন অনুমতি মিলেছে, তখন বারবার কেন বিজেপির মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? পাশাপাশি, ঠাকুরপুকুর মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, বাধা সত্ত্বেও গন্তব্যে পৌঁছতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একইসঙ্গে বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, রাজ্যবাসীকে ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আইনের ফলে রাজ্যের মতুয়া সহ বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সুবিধা হবে বলেই মত তাঁদের। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উসকে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপির মিছিলের জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়ে স্কুল ফেরত পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে নাজেহাল অবস্থা হয় যাত্রীদেরও।
আরও পড়ুন-নেতাদের দূরে রেখে নয়া ঘেরাটোপে মিছিলে মমতা