লড়াই থামল মুজফরপুরের ‘নির্ভয়া’র

0
5

১০ দিনের লড়াই শেষ। সোমবার রাতে মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ নির্যাতিতার। তেলেঙ্গানা, উন্নাওয়ের পর এই ঘটনা ঘটেছিল বিহারের মুজফরপুরে। তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল রাজা রাই নামে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক কেরোসিন ঢেলে তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে গত ৭ ডিসেম্বর। ঘটনার পরই রাজা ও তার এক সঙ্গী মুকেশ কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার প্রশান্ত বর্মা জানিয়েছেন, তরুণী বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে এই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণী চিৎকার করলে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর শরীরের ৯০ শতাংশ ঝলসে যায়। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। কিন্তু তখন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পটনায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এত দিন চিকিৎসা চলছিল তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার জামাইবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে যত ক্ষণ না সুবিচারের আশ্বাস দেবেন, আমরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করব না।” সেই সঙ্গে তিনি নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরেই বেশ কিছু দাবি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব সঞ্জয় কুমারের সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার।

আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে চিঠিতে উত্তর মুখ্যমন্ত্রীর, বিষয়টা প্রশংসার দাবি রাখে