ঘটনার দশ দিনের মাথায় ভোর সাড়ে তিনটেতে হায়দরাবাদের পৈশাচিক ধর্ষণকাণ্ডের অপারাধীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই কালভার্টের কাছে, যেখানে সারা রাত ধরে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ভোর রাতে নিয়ে যাওয়ার কারণ হল, যাতে জনতার আক্রমণের মুখোমুখি হতে না হয়। চার অপরাধীকে নিয়ে যাওয়ার আগে নিশ্চিতভাবে আঁটসাঁটো পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের আশপাশে। কারণ, বহু আলোচিত মামলা। তার মাঝখান থেকে পালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তা সত্ত্বেও কীভাবে পালানোর চেষ্টা? তথ্যভিজ্ঞ মহল বলছে, এটা আসলে পশ্চিমবঙ্গে সাতের দশকে রাজনৈতিক বন্দিদের এনাকাউন্টারে খুনের চেষ্টার রেপ্লিকা। কার্যত এটা পূর্ব পরিকল্পিত। যে জঘন্য অপরাধ তারা করেছে, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার ছিল। জনমানসে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তাতে সকলেই এই অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড চাইছেন। ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কোনও সুযোগই নেই। সকলেই সাধুবাদ জানাবেন। বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতায় নির্ভয়া কাণ্ডের অপরাধীরা এখনও বহাল তবিয়তে বেঁচে। আর সে নিয়ে আমজনতা মোটেই খুশি নয়। তাই ঘটনার পুনর্নিমাণ আসলে একটা অজুহাত মাত্র। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, তেলেঙ্গানা সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতেই এই প্লট সাজানো হয়েছিল। দরকার ছিল কড়া বার্তা দেওয়া গোটা দেশকে। যা নিয়ে গোটা দেশ সকাল থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছে পুলিশকে।































































































































