সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। হতাশ নির্ভয়ার বাবা-মা। তাঁদের মেয়েকে গণধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাদের শাস্তি ঘোষণা হয়েছে কিন্তু সে সাজা কার্যকর হয়নি। দিনের পর দিন তিহার জেলে রয়েছে তারা। হায়দরাবাদে গণধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এনকাউন্টারের পরে নির্ভয়ার মা সাইবারাবাদ পুলিশের প্রশংসা করেছেন। দিল্লি পুলিশকে সেই দৃষ্টান্ত দেখার অনুরোধও জানিয়েছেন। নির্ভয়ার বাবা জানান, “৭ বছর আগে আমাদের মেয়ে মারা গিয়েছে। আর প্রতিদিন আদালতের দরজায় ঘুরে ঘুরে মরছি আমরা”।
প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি শাস্তি পাবে নির্ভয়া কাণ্ডের ৩ অপরাধী? পাঁচ ধর্ষকের মধ্যে একজন ছিল নাবালক। ইতিমধ্যেই আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। বাকি ৪ অপরাধীর মধ্যে একজন জেলের ভিতর আত্মহত্যা করেছে। বাকি তিনজন মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় সিং রয়েছে তিহার জেলে। তারমধ্যে বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়। সেই আর্জি খারিজ করার জন্য কেন্দ্রের তরফে রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। উদয়পুরের এক অনুষ্ঠানে থেকে রাষ্ট্রপতিও স্পষ্ট জানান, নৃশংস ঘটনায় দোষীরা যাতে প্রাণ ভিক্ষা করতে না পারে, তার জন্য আইন আনতে হবে। এর থেকে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীরা কোনওভাবেই পার পাবে না। খুব দ্রুতই হয়তো তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফাঁসুড়ের অভাবেই অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া যাচ্ছে না। এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই সেই কাজটি করার আবেদন জানিয়েছেন। তবে নির্ভয়ার বাবা-মার আর্জি, তাঁদের মেয়ে বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে। হায়দারাবাদের তরুণীর মতো, তাঁদের মেয়ের আত্মাও যেন শান্তি পায়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.































































































































