সন্ধ্যার গানে বাংলা সঙ্গীতমেলার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

0
3

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই মঞ্চে এলেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধেই অশীতিপর সন্ধ্যা গাইলেন “মন কখন শুরু, কখন যে শেষ? কে জানে?” সূচনা হল বাংলা সংগীতমিলা 2019 এর। বুধবার, নজরুল মঞ্চে বাংলা সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা গানের মধ্যে দিয়ে ঐক্যের বার্তা দেন তিনি। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ঊষা উত্থুপ, হৈমন্তী শুক্লা, কুমার শানু, অভিজিৎ, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাশিদ খান প্রমুখ।

এবার সঙ্গীত মহাসম্মান পেলেন গৌতম ঘোষ, পরীক্ষিৎ বালা, জয়া বিশ্বাস এবং কৌশিকী চক্রবর্তী। সঙ্গীত সম্মান পেলেন ড. শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, শ্রী দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, প্রভা সেনগুপ্ত, সোমলতা আচার্য চৌধুরী, রঞ্জন প্রসাদ, মিতা চট্টোপাধ্যায়, মধুরিমা দত্ত চৌধুরী, চন্দন রায়চৌধুরী, মনোজ মুরলী নায়ার। বিশেষ সঙ্গীত মহাসম্মান পেয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলি, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, কুমার শানু এবং উষা উত্থুপ।
এবছর সরকারি উদ্যেগে সঙ্গীতমেলায় মান্না দে-কে নিয়ে রয়েছে বিশেষ প্রদর্শনী। তাঁর জন্ম শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানাতে এই উদ্যোগ। প্রদর্শনীতে নানারকম ছবি, মান্না দের জীবনের কথা, তাঁর গানের কথা, তাঁর সম্বন্ধে লেখা নানা বইয়ের অংশ বিশেষ রয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যেগে ৪ থেকে ১২ ডিসেম্বর ‘বাংলা সঙ্গীতমেলা’র পাশাপাশি সূচনা হল ‘বিশ্ববাংলা লোক সংস্কৃতি উৎসব’-এর। চারুকলা ভবন সংলগ্ন মুক্তমঞ্চে একদিন উপস্থিত থাকবেন বাংলার বহু লোকশিল্পী। এবছর বাংলা সঙ্গীতমেলা চলছে রবীন্দ্র সদন, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, ফণিভূষণ বিদ্যা বিনোদ যাত্রা মঞ্চ, মোহর কুঞ্জ, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মুক্ত মঞ্চ, একতারা মুক্ত মঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক এবং রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি মুক্ত মঞ্চে। সেখানে বাংলার সব শিল্পীদের সঙ্গে থাকছেন মুম্বইয়ের শিল্পীরাও।